ভেঙে গেছে হালদার বাঁধ, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে প্লাবন
দুইদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হাটহাজারীর নাজিরহাট নতুন ব্রিজ এলাকায় হালদার তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশ দিয়ে লোকালয়ে ঢুকেছে পানি।
উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া ফটিকছড়ি উপজেলা ও সংলগ্ন এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এক লাখ মানুষ।
হালদা নদীর উজান থেকে আসা পানিতে নারায়ণহাট, ভুজপুর, পাইন্দং, লেলাং, সমিতিরহাট, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিলসহ উপজেলার অধিকাংশ নিচু এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় ১৫ ফুট হালদার বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে শতাধিক বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। ফরহাদাবাদ উচ্চবিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বলেন, হালদার বাঁধের ভাঙা অংশে জিও ব্যাগ ফেলে পানি প্রবেশ বন্ধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বেড়িবাঁধের ২২টি ভাঙা অংশ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। হালদা নদীর পানি নারায়ণহাটে ১১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, বন্যায় এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হেঁয়াকো থেকে ফটিকছড়ি, ঝংকার মোড় থেকে রাউজান, নাজিরহাট থেকে কাজিরহাটসহ অন্যান্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় এসব এলাকার সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।