আনোয়ারাচট্টগ্রাম

ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সারি নেই

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সারিবদ্ধ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

বুধবার (২৯ মে) সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও ৭টার দিকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়।

সরেজমিনে আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সময় ৩টি কক্ষের ১টিতে ৪ জন মহিলা, আরেকটিতে ৬জন ও অপরটিতে ৭জন পুরুষ ভোটার উপস্থিত ছিলেন। শিলাইগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোটারদের কোনো সারি দেখতে পাওয়া যায়নি।

ভোট দিতে আসা আশা বেগম নামের এক ভোটার জানান, বৃষ্টি থামতেই তাড়াতাড়ি কেন্দ্রে চলে এসেছি। কোনো ঝামেলা ছাড়া তাড়াতাড়ি ভোট দিয়েছি। একই কথা জানিয়েছেন বাদশা মিয়া নামে ষাটোর্ধ্ব আরেক ভোটারও।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আশা করি কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।

এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির সমর্থিত দোয়াত কলম প্রতীকে তৌহিদুল হক চৌধুরী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়শা খান এমপির সমর্থিত আনারস প্রতীকের কাজী মোজাম্মেল হক। তীব্র উত্তেজনা, উৎকণ্ঠার এ নির্বাচন যেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির ধারক-বাহক দুই পরিবারের ভাগ্য পরীক্ষা। এতে বাবু পরিবারের শাসন স্থায়ী হবে, না-কি নতুন করে কায়সার পরিবারের শাসন পুনরুদ্ধার হবে এই নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই আনোয়ারাসহ আশপাশের উপজেলায়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ নির্বাচনে সংঘাতে শঙ্কা থাকলেও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ৭৪ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জামগুলো কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার আনোয়ারার ১১টি ইউনিয়নের ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন ভোটারেরর মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯ হাজার ২২১জন নারী ভোটার রয়েছে। ৭৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি কেন্দ্র হলেও নির্বাচন কমিশন সব কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। মঙ্গলবার থেকে মাঠে-টহল দিচ্ছে বডার্র গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকছে র‍্যাবের টিম। এছাড়া বিশেষ নিরাপত্তা হিসেবে থাকছে ৩ শতাধিক পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *