ভোট প্রদানে তরুণ ভোটাররা মুখিয়ে আছে, শঙ্কিত নেই কেউ
এবার প্রথম ভোট দেব। ইচ্ছা আছে, বাড়ির সবাই মিলে একসাথে ভোট দিতে যাব। শুনেছি ভোটকেন্দ্রে অনেক ঝামেলা হয়। কোনো ঝামেলা ছাড়া যাতে জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারি, সেটা প্রত্যাশা করছি।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ভোট নিয়ে ভাবনার কথা বলছিলেন সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা সেঁজুতি দাশ। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা হলেও ভোটার হয়েছেন গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম-৮) উপজেলায়।
“শুনেছি আগে মেশিনে সুইচ চাপ দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যেত, এবার নাকি কাগজে সিল দিয়ে ভোট দিতে হবে। সমস্যা নাই, মায়ের কাছ থেকে শিখে নেব। এবার প্রথম যারা ভোট দিতে চাইছেন, তাদের কথায় উচ্ছ্বাসের প্রকাশ পাচ্ছে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এখন ভোটার সংখ্যা ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৫, যেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬১ জন। তার মানে ভোটার বেড়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৪ জন, যাদের বেশিরভাগই তরুণ।
নগরীর পাহাড়তলী, হালিশহর ও ডবলমুরিং এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে গত ৩০ জুলাই উপনির্বাচন হলেও তাতে তিনি অংশ নেননি। এবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে চান তিনি।তবে ভোট কেন্দ্র দখল, গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দিয়ে দেওয়ার ঘটনা অতীতে শোনার কারণে নোমানের মনে শঙ্কা, তিনি ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন তো?