কক্সবাজারচট্টগ্রাম

মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী কক্সবাজারে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহাব উদ্দিন সিকদারকে (৩৩) যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি-দখল, অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর সদরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহাব উদ্দিন সিকদার শহরের আলীর জাহাল এলাকার হোসেন মাস্টারের ছেলে।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহাব উদ্দিন সিকদার নামের এক ব্যক্তিকে আমাদের হাতে তুলে দেয় যৌথ বাহিনী।

রাত ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, শাহাব উদ্দিন সিকদারের বিরুদ্ধে হত‍্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি-দখল, অর্থ আত্মসাতের মামলাসহ শতাধিক অভিযোগ রয়েছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট, র‍্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার পৃথক দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।

যৌথ বাহিনীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে শাহাব উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে যৌথ বাহিনীর টিম পৌঁছানোর পূর্বেই অবৈধ অস্ত্র সরিয়ে ফেলা

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার পতনের পর শাহাব উদ্দিন তার বড় ভাই বিএনপি নেতা ইমরান শিকদারের ছত্রছায়ায় এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, তথ্য যাচাই-বাছাই করে শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, সাহাব উদ্দিনকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতে তোলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটা অভিযোগ উঠেছে যা তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার পৌরসভার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সিকদার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২০২৩ সালে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ৯৩ ইয়াবা কারবারির নতুন খসড়া তালিকা করেছিলো। যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছিলো বলে জানা গেছে। সেই ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় সাহাব উদ্দিনের নামও রয়েছে। যদিও তার বিরুদ্ধে এখনো মাদক মামলা রুজু হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *