মন্ত্রণালয়ে চবির সমাবর্তনের প্রস্তাব কেন আটকে থাকে!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: শনিবার (১৮ নভেম্বর) ৫৭ বছর পূর্ণ হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)। অথচ ৫৭ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ৪ বার।সর্বশেষ সমাবর্তন হয়েছে ৮ বছর আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর দৃষ্টি এখন পরবর্তী সমাবর্তনের দিকে।
সমাবর্তনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও একবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তিনি জানান, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে পরবর্তী সমাবর্তন। তবে আমাদের সমাবর্তনের প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে কেন আটকে থাকে, জানি না।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন চবি উপাচার্য।
সমাবর্তন করার পথে বাধা কোন জায়গায়- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, সমাবর্তন হওয়ার জন্য প্রস্তাবটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ খাতায় উঠে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। আমাদের সিন্ডিকেট সদস্য সম্পদ বড়ুয়া এ বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন। আমি উপাচার্য হওয়ার পর অনেক চেষ্টা করলেও এর মধ্যেই করোনা চলে আসে।
উপাচার্য বলেন, করোনার পরে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন অনুষ্ঠান করলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন করা সম্ভব হয়নি। আমি দেখলাম, আমাদের আবেদনটা আটকে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। কেন আটকে থাকে, সেটা বুঝতে পারলাম না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের সমাবর্তনের প্রস্তাবটি সবুজ খাতায় ওঠেনি। এটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নাকি কারও গাফিলতি, জানি না।
অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, তারপর আমি আবার দেখলাম আমাদের আবেদনটি কেন সময়মতো পৌঁছালো না। এখন আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের সময় দেবেন। রাজশাহীতে যেহেতু তিনি পড়েছেন, তাই আমাদের আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন করবেন। তারপর তিনি আমাদেরটা করবেন। তিনি আমাকে অনেকটাই কনফার্ম করেছেন আমাদের সমাবর্তন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। তাই আমরা আশাকরি আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে সমাবর্তন করতে পারবো।