বিনোদন

মন খারাপের রাতে কী করেন জানালেন মিমি

আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ২১জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের পাশাপাশি বিশ্ব সঙ্গীত দিবসও। আর এই দিবস উপলক্ষ্যে টালিউড নায়িকা মিমি চক্রবর্তী তার প্রিয় দুটি বিষয় তুলে ধরেছেন গণমাধ্যমে। রাতে মন খারাপ হলে কী করেন সেটি জানিয়েছেন মিমি।

তিনি বলেন, যে দুটি বিষয় ছাড়া জীবন একেবারেই চলে না, তা হল গান আর যোগব্যায়াম। আমার জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এরা।

মিমি চক্রবর্তী জানান, যোগ সম্পর্কে আমার জ্ঞান হয়তো সীমিত। ভালবাসি বলে অনেক বছর ধরে অনুশীলন করছি মাত্র। যোগ তো আর মেদ ঝরানোর ওষুধ নয় যে, আজ খেলাম কাল ফল পেয়ে গেলাম। তবে যে শরীরের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন আনে তা অনস্বীকার্য।

‘একবার অভ্যাসে পরিণত হলে একটা দিনও বাদ দেওয়া যায় না। যোগ আমাকে মানসিক দিক থেকে অনেকটা সাহায্য করেছে। মেদ কমানোর জন্য যোগা শুরু করেছিলাম, এমন নয়। বরং সার্বিক সুস্থতার জন্যই নিয়মিত যোগাভ্যাস করি। যাতে সাবলীল ভাবে ছোটাছুটি বা স্টান্ট করতে পারি। দম যেন আটকে না আসে!’

তিনি বলেন, অনেককে দেখি কোনও সংস্থার আওতায় এসে টানা কয়েক দিন যোগ, ধ্যান, মৌনব্রতের মধ্যে থাকেন। একে ‘হোলিস্টিক লিভিং’ বলে। বিশেষত দক্ষিণ ভারতে এই ধরনের নানা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই ব্যাবস্থার মধ্যে দিয়ে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসার পরে ওই পদ্ধতিকেই জীবনযাপনের অঙ্গ করে তুলতে হবে। যোগার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দিতে হবে। আমি সারা বছর যে ডায়েটে থাকি এমন নয়! তবে অধিকাংশ সময় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। এখন যদি কোনও ছবির চরিত্র বা নাচের প্রয়োজনে নিজেকে নির্দিষ্টভাবে দেখানোর প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে ডায়েটে পরিবর্তন আনতেই হবে।

মিমি আরও বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন। টোটা রায় চৌধুরী, ঊষসী চক্রবর্তী, ইমন চক্রবর্তী আরও অনেকে। আমার মাইগ্রেনের সমস্যা আছে। এক দিন সেই কথা জেনে ইমন আমাকে মেসেজ করেছিল,‘তুমি ভ্রামরী প্রাণায়াম কর।’ নিয়মিত ভ্রামরী প্রাণায়াম করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেনের সমস্যা কিছুটা লাঘব হয়। আমি উদ্যোগ নিয়ে আমার মা, বাবাকে যোগার সঙ্গে পরিচয় করাই। সূর্য নমস্কার দিয়ে বাবা শুরু করেছে। এখন ভ্রামরী প্রাণায়ামও করে। বাবাকে কিছু প্রাণায়াম শিখিয়ে দিয়েছি আমি। একসঙ্গে ভ্রামরী প্রাণায়াম করি আমরা। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঝখানে বেশ কয়েক দিন যোগা করতে পারেনি বাবা।

গান নিয়ে মিমি চক্রবর্তী বলেন, গান ছাড়া হয়তো আমার অস্তিত্বই থাকত না। বলা ভালো, জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে পারতাম না। পেশার তাগিদে বা খ্যাতির জন্য গান করি না। কেবল নিজের জন্যই গান গাই এবং এতে কোনও ভণিতা নেই। যে অনুরাগীদের আমার গান ভালো লাগে তারা শোনেন। আমি কখনও গান শিখিনি। কিন্তু গানের সঙ্গে এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছি যে গান ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারি না।

মিমি বলেন, মন খারাপের রাতে আমি আর মা পুরনো দিনের গান গাই। আধুনিক গানের তুলনায় লতা-কিশোরের গানের দিকে আমার ঝোঁক বেশি। ‘গাইড’ বা ‘কটি পতং’ ছবির সব গান হুবহ গেয়ে ফেলতে পারি। আমি কয়েকটি মিউজিক ভিডিও গান করেছি, রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। আমার মনে হয় একবার ‘গীতবিতান’-এর প্রেম পর্যায়ের গানের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেলে ওর থেকে রোমান্টিক আর কী হতে পারে! প্রেম, ভালবাসা বা বিরহের গান, সব হয়তো জানি না, যতটুকু পারি করি আর কী!-যোগ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *