কক্সবাজারচট্টগ্রাম

মহেশখালীতে অস্ত্র কারখানায় র‌্যাবের অভিযান, আটক ৩

কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫। এ সময় অস্ত্র তৈরির ছোট-বড় ৫০টি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) ভোর আনুমানিক ভোর ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব পুইরছড়া খঞ্জনীর বাপেরঘোনা এলাকায় র‌্যাব-১৫ এ অভিযান পরিচালনা করে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা দুর্গম পাহাড়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। পলায়নকালে ধাওয়া করে অবৈধ অস্ত্র তৈরি, কেনা-বেচার সাথে জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

অভিযানে অস্ত্র তৈরির কারখানার অন্যতম কারিগর বাদশা মিয়া কৌশলে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যান। অস্ত্রের কারখানা হতে দুটি ওয়ান শুটারগান এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদির মধ্যে উল্লেখযোগ্য লোহার তৈরি ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি, করাত, চারটি লোহার পাইপ, দুটি লোহার ব্যারেল, হেক্সো ব্লেড, দুটি লোহা কাটার ব্লেড, ৬০টি ওয়াশার, দুটি পাঞ্চিং রড, দুটি বড় নাট, রেঞ্চ, স্টিল সিড, তিনটি লোহার অংশ ও লোহার ব্রাশসহ অস্ত্র তৈরির আনুষঙ্গিক ছোট-বড় ৫০টি অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হল, অফিসপাড়ার মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে ফরিদুল আলম (৫৪), একই এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে জিসাদ প্রকাশ সোনা মিয়া (২২) ও ফরিদুল আলমের ছেলে বাহিম (২০)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বাদশা মিয়া নামে একজনকে অস্ত্র তৈরির কারিগর হিসেবে চিহ্নিত করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা গোপনে অস্ত্র তৈরি ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এছাড়া ডাকাতি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় এবং মাদক ব্যবসার সাথেও তাদের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ার সুবাদে সেখানে গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরির কারখানা। পলাতক ও গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন বর্ণিত কারখানায় কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে দেশীয় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র তৈরি করত। পরবর্তীতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ সকল অস্ত্র কক্সবাজার শহর, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার নিকট এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপরাধীদের নিকট উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে থাকেন মর্মে স্বীকার করে আসামিরা।

র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পলাতক কারিগর বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *