মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ নিহত বেড়ে ২
শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে শ্রাবণ (২৮) নামে এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দুইজনে দাঁড়াল। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে ট্রলিচালক মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) ও একই মহল্লার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলোয়র হোসেন মিন্টুর ছেলে শ্রাবণ (২৮)। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই দল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাপলা চত্বরে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি কেন্দ্র করে রাতে দুই মহল্লার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গৌরীপুর মহল্লার ট্রলিচালক মিজানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরতর আহত করেন খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকার প্রতিপক্ষরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুইটি দল তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মিজানকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গুরুতর আহত শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার ভোরে তিনিও মারা যান। শ্রাবণ নৌহাটা মহল্লায় বসবাস করতেন। তিনি শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও দুইজন নিহত হওয়ায় সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।