‘মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার প্রকৃত অনুসারীগণ সবরকারী’
বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী গবেষক মুহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী বলেছেন, মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার প্রকৃত অনুসারীগণ সবরকারী। সবরের মধ্যে শোকর রয়েছে। শোকরের মধ্যে রয়েছে জিকির। আর জিকির হচ্ছে মওলার ভালোবাসায় নিজেকে উজ্জীবিত রাখা।
১৩ জানুয়ারি মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর মওলা মঞ্জিলে ১০ মাঘ গাউসুল আজম হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১১৮তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভা, মিলাদ মাহফিলে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোফরান উদ্দীন ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ মনোনীত ফটিকছড়ি ‘খ’ জোনের সমন্বয়ক মাস্টার মুহাম্মদ দিদারুল আলম ও মাস্টার আহমদ হোসেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ ওমর ফারুক।
১০ মাঘ ওরশ শরীফের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথি আরও বলেন, যারা বিনয়ী তারা সুফিবাদে বিশ্বাসী। আমাদের তাসাউফের পথে অগ্রসর হতে হলে আদব ও বিনয়ের অনুশীলন করতে হবে। যা মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার অনুসারী হওয়ার পূর্ব শর্ত। আমরা নিজস্ব অবস্থান থেকে সেবক বা খেদমতগার হলে আমাদের মাঝে বিনয় আসবে। বিনয়ের সাথে খেদমতে দাখিল হলেই ওরশ শরীফের ফঁয়ুজাত আমাদের ওপর বর্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় পর্ষদ প্রেরিত মহান ১০ মাঘ ওরশ শরীফের নির্দেশনা মোতাবেক সংগঠনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও ওরশ শরীফে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সভাপতি ওনার বক্তব্যের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মিলাদ, মোনাজাত ও জিকিরে সেমা অনুষ্ঠিত হয়।