মাওয়ায় আজ সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর সব কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানতে আজ মাওয়ায় এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (০৫ জুলাই) বিকেলে অনুষ্ঠেয় এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মাওয়ায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে প্রস্তুত এখন মাওয়া। চারদিকে সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় এখন পদ্মা তীরের মানুষ। আর প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছ্বসিত পদ্মাপাড়ের মানুষ।
আজ থেকে ২৩ বছর আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়ায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেখানেই প্রকল্পের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করবেন তিনি। এখন দিনরাত পদ্মার বুক চিরে চলছে ট্রেন ও যানবহন। যে স্বপ্ন ধারণ করে গড়ে উঠেছিল পদ্মা সেতু, সেই স্বপ্নের বাস্তবতা এখন প্রচণ্ডভাবে দৃশ্যমান আজ পদ্মার বুকে। সেতুর দুই তীরে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র, শিল্প স্থাপন এবং সহজ যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, বাঙালির সক্ষমতার স্মারক পদ্মা বহুমুখী সেতু। সেতুর সড়ক ও রেল পথের সুফল ছাড়াও হাইভোল্টের লাইনে রামপাল ও পায়রার বিদ্যুৎ আসছে রাজধানী ঢাকায়। মিলছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং ফোন সুবিধাও। নদী শাসনে বন্ধ এখন পদ্মার ভাঙন। দ্যুতি ছড়াচ্ছে সেতুর ৫টি পুনর্বাসন কেন্দ্র। আর সেতু জুড়ে ৭৬০ মিলিমিটার ব্যসের গ্যাস লাইনও প্রস্তুত। সব কাজই সম্পন্ন এখন। তাই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপনী টানতে শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাগুফতা ইয়াসমিন বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করেছে। তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায়, তারা এখন দেশে চলে যাবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জবাসীকে অনেক দিয়েছেন, আরও দিতে চেয়েছেন। মুন্সীগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের পদ্মা সেতু দিয়েছেন। মুন্সীগঞ্জে রেল চলবে, এটা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। এখন আমাদের সব স্বপ্ন সত্য হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো.আবুজাফর রিপন বলেছেন, এই সমাবেশে কূটনীতিক, রাজনীতিবিদসহ দেড় হাজার সুধী অংশগ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। জোরদার করা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা।