মাকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের প্রচারে টিউলিপ সিদ্দিক
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী চার জুলাই। এবারের নির্বাচনেও লেবার পার্টির হয়ে এমপি পদে জয়ী হতে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি ও বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডন মেয়র সাদিক খান আনুষ্ঠানিকভাবে টিউলিপ সিদ্দিকীর নির্বাচনী প্রচার অভিযান শুরু করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ টিউলিপ তার নির্বাচনী প্রচার অভিযানের খবর দেন। টিউলিপের নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও মা শেখ রেহানাসহ স্থানীয় কাউন্সিলর বৃন্দ।
আগামী নির্বাচনে টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই এলাকা থেকে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন টিউলিপ।
লেবার পার্টির হয়ে ছায়া মন্ত্রিসভার ইকোনমিক সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন টিউলিপ। একই সঙ্গে লন্ডনের ফাইন্যান্সিয়াল সিটির শ্যাডো মিনিস্টার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ রেহানা কন্যা।
২০১৬ সালে লেবার পার্টির শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন নির্বাচিত হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। সেই সময় তিনি শিশু কল্যাণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন। লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন নেতত্বাধীন প্রথম ছায়া মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল ডাগারের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন টিউলিপ।
রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ কো-অপারেটিভ পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে তিনি পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী ক্রিস পার্সির সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বসবাস করেন। এ দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের মেয়ে আজালিয়া জয় পার্সি ও ছেলে রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি।