দেশজুড়ে

মাদারীপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

জেলার রাজৈর উপজেলায় সুমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের দুর্গাবর্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমার পাঁচ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

জানা গেছে, রাজৈরের বদরপাশা ইউনিয়নের দুর্গাবর্দী এলাকার আজিত কাজীর ছেলে কামরুল কাজীর (২৬) সঙ্গে ভালোবেসে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় বাজিতপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া বাজিতপুর গ্রামের ছলেমান শেখের মেয়ে সুমা আক্তারের (২০)। বিয়ের কিছুদিন পর কাজের সুবাধে কামরুল দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যায়। এরপর শুরু হয় সুমার ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে দুচোখের বিষ হয়ে ওঠে সুমা! বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে করা হয় নির্যাতন। অবশেষে গত মঙ্গলবার বিকেলে যৌতুকের দাবিতে সুমাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে কামরুলের পরিবারের বিরুদ্ধে।

ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর বুধবার (৩ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত সুমার বড়ভাই অহিদুল শেখ বলেন, ‘আমার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কামরুলে বাড়ির লোকজন। পরে তারা পালিয়েছে গেছেন। আমি এ হত্যাকাণ্ডের কঠিন বিচার চাই। ’

নিহত সুমার মা হাসিনা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে দু’চোখে দেখতে পারতেন না কামরুলের পরিবারের লোকজন। নানাভাবে অত্যাচার আর নির্যাতন করতেন সুমাকে। মঙ্গলবার তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়েছেন। আমি এ শোক কিছুতেই মানতে পারছি না। আমার মেয়েকে হত্যার বিচার চাই। ’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, নিহত সুমার, হাফছা নামে পাঁচ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ রয়েছে, সুমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এখনও থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি কেউ। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, পলাতক থাকায় কামরুলের পরিবারের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *