চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

মানিকছড়িতে সড়ক ভেঙে খালে, ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল বাজার থেকে পূর্বপাড়া চাইল্লাতলী ব্রিজ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার ইট সলিং সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়েছে খালে। এতে উপজেলা সদরসহ স্থানীয় বাজারে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকার কয়েকটি গ্রামের আড়াইশ মানুষ।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব গচ্ছাবিল এলাকার ৩৫-৪০টি পরিবারের প্রায় আড়াইশ লোকজনের উপজেলা সদর ও স্থানীয় গচ্ছাবিল বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক গচ্ছাবিল বাজার থেকে পূর্বপাড়া চাইল্লাতলী ব্রিজ পর্যন্ত। এছাড়াও স্কুলে কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, মুমূর্ষু রোগীর হাসপাতালে যাতায়াত ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে স্থানীয় হাট ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সড়কের বিশাল অংশ ভেঙ্গে পড়েছে খালে। সেইসাথে সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে ফাটল ধরেছে আরও বেশ কিছু অংশে। এমন অবস্থায় বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে গ্রামবাসী।

পূর্ব গচ্ছাবিল গ্রামের বাসিন্দা মো. মহারাজ হাওলাদার বলেন, আগে কিছুটা চলাচল করা যেতো, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পুরোটাই ভেঙে যায় সড়কটি। বয়োবৃদ্ধ, ছোট ছোট স্কুল শিক্ষার্থী ও রোগী নিয়ে যেতে বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

একই এলাকার বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামান ও মামুন বলেন, আমরা এই গ্রামের প্রায় আড়াইশ লোকজন এই সড়কে বাজার এবং উপজেলা সদরে যাতায়াত করি। খালের পাড়ঘেঁষা হওয়ায় সড়কটি ভেঙ্গে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সড়কের পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিও ভেঙে খালে চলে যাবে।

স্থানীয় শমসের আলী বলেন, গচ্ছাবিল বাজার পর্যন্ত ইট সলিং সড়কের বাকি অংশও ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত উদ্যোগ না নিলে মানুষের ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক বলেন, সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ। তবে ইউনিয়ন পরিষদের ছোটখাটো বরাদ্দ দিয়ে ভাঙনরোধ করা যাবে না। এর জন্য জেলা পরিষদ কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্দ প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *