দেশজুড়ে

মানুষ শুধু গরু দেখছে, কিনছে না

কুষ্টিয়া থেকে ১৩টি গরু নিয়ে হাজারীবাগ গরুর হাটে এসেছেন দুই বেয়াই মুক্তার ও বাবু। গত মঙ্গলবার (১১ জুন) হাটে আসলেও বিক্রি করেছেন মাত্র দুটি গরু। ঈদের আরো ৪ দিন বাকি থাকায় ক্রেতারা শুধু গরু দেখছেন বলে জানিয়েছেন এই দুই গরু বিক্রেতা। তারা জানান, ক্রেতারা গরু দেখছেন, কিনছেন না।

মঙ্গলবার ভোররাত ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার দুর্গাপুর গ্রামে মুক্তার হোসেন ১১টি গরু ও কুষ্টিয়ার সদর থানার কবুরহাট এলাকার বাসিন্দার বাবুল হোসেন বাবু ২টি গরু নিয়ে হাজারীবাগ হাটে আসেন। সম্পর্কে তারা বেয়াই।

মুক্তার হোসেন জানান, ২টি গরু বিক্রি করেছি। প্রতি মণ ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। সাড়ে চার মণ ওজনের একটি গরু ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আরেকটি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।

বাবুল হোসেন বাবু বলেন, আজকে মানুষ শুধু দেখছে। বাজার জমবে কালকে। ক্রেতা আসে মোটামুটি ভালোই। মিডিয়াম সাইজের গরুর চাহিদা। গতকালের থেকে আজকে দাম কম বলছে। তবে প্রতি বছরের তুলনায় এবার কম আসছে গরু।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় গরু ও ছাগলের বিশাল হাট বসেছে। হাটে ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা দামের গরু উঠেছে।

এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে ১৫টি গরু নিয়ে আসেন সহিদ ব্যাপারী। গতকাল মঙ্গলবার তিনি আসলেও এখনও একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি।

পবিত্র ঈদুল আজহার জন্য গরু কিনতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী মনতাজ উদ্দিন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেল অফিস শেষ করে এসেছি। এখনও দেখছি। গরুর দামটা মনে হচ্ছে একটু বেশি। আজকে কিনবো না, আজকে দেখছি। কাল বিকেলে এসে দাম মিলিয়ে নেব একটা।

হাট ঘুরে দেখা যায়, হাজারীবাগ গরুর হাটে ১ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকার দামের গরু উঠেছে বেশি। বিভিন্ন রঙের গরুর মধ্যে কালো রঙের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। হাটে ফরিদপুর থেকে সাড়ে আট লাখ টাকার একটি গরু নিয়ে এসেছেন বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, সবাই দেখছেন। কেউ কেউ দামও বলছেন। আমরা সাড়ে আট লাখ টাকা দাম চাচ্ছি।

২ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে ২টি গরু কিনেছেন রায়ের বাজারের নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুটি গরু কিনেছি। বিকেল থেকে ঘুরে কিনলাম। দাম বেশি মনে হয়নি। আমাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টির জন্য একটু কষ্ট হয়েছে। বাজেটের মধ্যে গরু পাওয়া কষ্টের ব্যাপার। আল্লাহ মিলিয়ে দিয়েছেন, আজকে কষ্ট হলেও গরু কেনার কাজটি শেষ করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *