মামুনুল হক রাজনৈতিক প্রহসনের শিকার : খেলাফত যুব মজলিস
সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও মাওলানা মামুনুল হক রাজনৈতিক প্রশাসনের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস সভাপতি মাওলানা আবুল হাসান জালালি। তিনি বলেন, একটা মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাকে (মামুনুল হক) আটকে রাখা হয়েছে। তাই আজকে আমরা মামুনুল হকসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি করছি।
শনিবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস আয়োজিত মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের দীর্ঘ কারাবাসে উদ্বিগ্ন ছাত্রজনতার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আবুল হাসান জালালি বলেন, আমরা খুব ভালো করেই জানি আপনারা কোন খুঁটির জোরে আজকে ক্ষমতায় টিকে আছেন। আপনাদের প্রধান শক্তি ভারত এবং দ্বিতীয় শক্তি দেশের পুলিশ বাহিনী। আপনাদের মুনাফেকের চেহারা এই জাতির সামনে আজকে উন্মোচিত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, মাওলানা মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল অন্যায়ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। তার আগে পরে অনেক আলেম-ওলামা ও মাদরাসার ছাত্রদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের মধ্যে অনেকে মুক্তি পেলেও মাওলানা মামুনুল হকসহ কয়েকজন নেতা দীর্ঘ ২১ মাস ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
বাংলাদেশ যুব মজলিস সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, মাওলানা মামুনুল হকের অপরাধ যখন বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর সুবর্ণজয়ন্তী হয় তখন সে অনুষ্ঠানে ভারতের নরেন্দ্র মোদিকে আসতে মানা করেছিলেন। সরকার সুযোগ খুঁজছিল কীভাবে মামুনুল হককে কারাবন্দি করা যায়। তাই পরবর্তী সময়ে একটা মিথ্যা উদ্দেশ্যমূলক বানোয়াট মামলায় তিন বছর ধরে মাওলানা মামুনুল হককে কারাবন্দি করে রেখেছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাবিবউল্লাহ, ঢাকা মহানগরী সভাপতি ও খেলাফত ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাবেক সভাপতি মাওলানা মোল্লা মোহাম্মদ খালেদ ফয়জুল্লাহ প্রমুখ।