‘মাস্তানি, ফাও খাওয়া’ এগুলো জাদুঘরে যাবে: চবি উপাচার্য
হলের মধ্যে ‘মাস্তানি, ফাও খাওয়া’ এগুলো জাদুঘরে যাবে। আমি নিজে হল ভিজিট করবো।
মাছের পিসের সাইজ মাইক্রোস্কোপ নিয়ে গিয়ে দেখবো আমি। আর কিভাবে হলে আসন বরাদ্দের নীতিমালা তৈরি করলে ভালো হয়, সে বিষয়ে আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আজকেই একটা মিটিং রেখেছি।
শুধু এটাই না, লাইব্রেরি ব্যবহার, সার্টিফিকেট উত্তোলন এসব ব্যাপারেও আগামী ১ মাসের মধ্যে একটা পরিবর্তন আশাকরি দেখবেন আপনারা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার এসব কথা বলেন।
চবি উপাচার্য বলেন, ছাত্ররা অবশ্যই রাজনীতি করবে কিন্তু সেই রাজনীতি হতে হবে ছাত্রদের অ্যাকাডেমিক স্বার্থ কেন্দ্রিক। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি না। সারা পৃথিবীতে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু কোথাও কি দেখাতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে? একজন ছাত্র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিতে আসছে আর তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে? এমন ঘটনা কোথাও ঘটে? তাহলে কি সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নেই। সেখানে অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি আছে। বিশ্বের বড় বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠন আছে, শিক্ষকদের সংগঠন আছে। তারা অ্যাকাডেমিক স্বার্থে রাজনীতি করে।
চবি উপাচার্য আরও বলেন, আমি ৪০ বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি, কখনো হাউস টিউটরও হতে পারিনি। দলীয় সরকার থাকলে ভিসি তো দূরের কথা আমাকে কোনো পদের জন্য বিবেচনাই করা হতো না। তারপরও আমি কোনো তদবির করিনি। উনারা নিজেরাই কেন আমাকে চেয়েছে জানি না, কিন্তু এই গুরুদায়িত্ব যেহেতু কাঁধে এসেছে, আমি সেটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে চাই।
ড. ইয়াহ্ইয়া আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো। ছাত্ররা আন্দোলন করেছে বলেই আজ আমি উপাচার্য হয়েছে। আমার কোনো স্বার্থ বা চাওয়া পাওয়া নেই। কারণ আমি ইতিমধ্যে অবসরপ্রাপ্ত। আমার কাজে যদি দুর্নীতি দেখেন তাহলে সেটা পত্রিকার প্রথম পাতায় লিখবেন। আমি কোনো অন্যায় করি কি-না সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবেন। আমি যদি সৎ থাকি, তাহলে আমার ভয় কিসের।