মিরসরাইয়ে ‘ঘুমের ওষুধ খেয়ে’ পল্লী চিকিৎসকের আত্মহত্যা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে কিশোর ভৌমিক (২৯) নামের এক পল্লী চিকিৎসক মারা গেছেন। রবিবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে শুক্রবার (১১ মে) রাতে ঘুমের ও প্রেসারের একাধিক ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হন কিশোর।
কিশোর ভৌমিক উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের হারাধন চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে। স্থানীয় বদিউল্লাপাড়া এলাকায় তার একটি ঔষধের ফার্মেসি রয়েছে।
জানা গেছে, এক মেয়েকে পছন্দ করতেন কিশোর। তাকে বিয়ে করার কথা জানালে রাজি হননি মা। এ অভিমানে বাড়িতে রাখা ঘুমের ও মায়ের প্রেসারের একাধিক ওষুধ একসঙ্গে খেয়ে নিজ কক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়েন কিশোর। পরে পরিবারের লোকজন শনিবার ভোরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (মস্তাননগর) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
প্রতিবেশী পলাশ মজুমদার বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না কিশোরের। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মায়ের সাথে ঝগড়া চলছিল শুনেছি। শুক্রবার রাতে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে একাধিক ঘুমের ও প্রেসারের খায়।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার বলেন, রবিবার কিশোর ভৌমিক নামের এক ছেলে অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে মারা গেছেন শুনেছি। প্রেমঘটিত কারণে মায়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন বনিবনা হচ্ছিলো না তার। তাই এমন পথ হয়তো বেছে নিয়েছে সে।