মুক্তিপণের দাবি স্পষ্ট করেনি জলদস্যুরা
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার দীর্ঘ ৯ দিন পর জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দস্যুরা। তবে ২৩ নাবিক ও জাহাজটি ছাড়তে মুক্তিপণ হিসেবে কত দাবি করেছিল দস্যুরা- এই নিয়ে মুখ খুলছে না জাহাজ মালিক পক্ষের কেউ।
এ প্রসঙ্গে কবির গ্রুপের মুখপাত্র ও মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, ৯ দিন পর দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এখনও কথাবার্তা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আমরা আশাবাদী। এখনও জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত কথা হয়নি। আশা করছি, শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সমাধান হবে। তবে ১৩ বছর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছিল। সে সময় ১০০ দিন পর জাহাজ ও সেখানে থাকা ২৬ জন মুক্তি পান। জাহাজসহ এ ২৬ জনকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেতে কবির গ্রপকে দিতে হয়েছিল ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। তখন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল ৬০ টাকার মতো। সেই হিসাবে প্রায় ১৮ কোটি টাকা খরচ পড়েছিল। এবার ২৩ নাবিকসহ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র জন্য কত লাখ ডলার দিতে হচ্ছে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমভি জাহান মণি জাহাজে থাকা এক নাবিক বলেন, চূড়ান্ত দরকষাকষির পর ২০১১ সালের ১২ মার্চ দস্যুদের চুক্তিমতো একটি বিমানে করে মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় সোমালিয়ায়। কথামতো ডলারভর্তি দুটি ওয়াটারপ্রæফ স্যুটকেস ছুড়ে মারা হয় সাগরে ভাসা দস্যুদের একটি স্পিডবোটের ওপর। যার সবই ছিল ১০০ ডলারের বান্ডেল। পরে এসব ডলার গুণে নেয় দম্যুরা। এরপর ১৪ মার্চ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হয় দস্যুদের কবল থেকে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারেন গ্রæপের কর্মকর্তারা। জাহাজটি আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার অফকোস্টে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুর কবলে পড়ে। জাহাজটিতে মোট ২৩ বাংলাদেশি নাবিক আছেন।