চট্টগ্রাম

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৫ দফা

কোটাকে ইস্যু করে জাতির পিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ও অবমাননার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু’র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সজিব ও জেলা শাখার সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা কমান্ডার ডা. মাহফুজুর রহমান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর এর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহ আলম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নওশাদ মাহমুদ রানা, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, মেজবাহ উদ্দিন মোরশেদ, আশিকুন্নবী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ড. ওমর ফারুক রাসেল, চবি শিক্ষক ড. কাজিম নূর সোহাদ প্রমুখ।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কটুক্তির বিচারসহ ৫ দফা দাবি পেশ করেন ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল।

দাবিগুলো হলো:

কোটাকে ইস্যু করে বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিয়ে কটূক্তিকারিদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে শনাক্ত করে শাস্তির আনা। অতিসত্বর সুরক্ষা আইনের আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাংবাধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা। পিএসসির মাধ্যমে ১৯৭২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত কত জন বীর মু্ক্তিযোদ্ধা চাকরি পেয়েছে এবং ১৯৯৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত কতজন সন্তানের চাকরি হয়েছে কোটার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। রাজাকারের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করে প্রত্যেক ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় টাঙানো এবং ঘৃণা স্তম্ভ তৈরি করা। রাজাকার পরিবারের সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত, রাজাকারের পরিবারের সকল সদস্যকে চাকুরিচ্যূত এবং ভবিষ্যতে যাতে কোনো রাজাকারের প্রজন্ম যাতে দেশের কোনো ধরনের নেতৃত্বে আসতে না পারে এবং সরকারি চাকরিতে যোগগান করতে না পারে আইন করে তা নিশ্চিত করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *