চট্টগ্রাম

মুক্ত নাবিক তানভীরের জন্য গরুর মাংস ও শিমের বিচি রেঁধেছেন মা

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমদের মা জোছনা বেগম জানান, আজ খুব আনন্দ লাগছে। যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।

প্রতিটি মুহূর্ত যেন অনেক দেরি হচ্ছে। আজ ঈদের আনন্দ। যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

আগ্রাবাদ সিডিএ ১০ নম্বর থেকে ছেলেকে নিতে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তানভীরের স্ত্রী রাহা।

মা বলেন, সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়েছিল তখন আতঙ্কে ছিলাম। কষ্টে ছিলাম। কখন কী খবর আসে। এখন ঈদের চেয়ে বেশি আনন্দ। অপেক্ষা করছি কখন ছেলের মা ডাক শুনব।

প্রথম দিন যখন জলদস্যুর কবলে পড়ার খবরে দেখলাম যখন বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল। ঈদটা গেছে মৃত্যুপুরিতে।

মঙ্গলবার (১৪ মে )দুপুরে ছেলে ফোন দিয়ে বলেছে, আম্মু জাহান মনিতে উঠেছি। চারটার মধ্যে আসবো।

জোছনা বলেন, দুঃসময়ে যাদের সঙ্গে পরিচিত ছিল না তারাও দোয়া করেছেন। দেশবাসীর দোয়ায় তারা মুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ ছেলের পছন্দের সব খাবার রান্না করেছি। এর মধ্যে আছে গরুর মাংস, মুরগি, কই মাছ, শিমের বিচি।

ছেলেকে আবার জাহাজে পাঠাবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, অবশ্যই পাঠাব। দেশের জন্য ছেলেকে উৎসর্গ করবো।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে অবস্থানরত এমভি আবদুল্লাহ থেকে ‘এমভি জাহান মনি ৩’ নামের লাইটার জাহাজে চট্টগ্রামে রওনা দেন। বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘এনসিটি ১’ জেটি। সেখানে বিকেল ৪টায় বীরোচিত সংবর্ধনা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক

জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *