দেশজুড়ে

মুমূর্ষু শিশুকে রক্ত দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনেই অজ্ঞান কলেজছাত্রী

যশোর: খুলনায় মুমূর্ষু শিশুকে রক্ত দিয়ে ট্রেনে চড়ে যশোর ফিরছিলেন কলেজছাত্রী উষা রহমান। তবে ট্রেনেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় ট্রেনে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশ কলেজছাত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং স্বজনদের খবর দিয়ে এনে তাদের কাছে ওই ছাত্রীকে হস্তান্তর করে।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী উষা রহমান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালী গ্রামের প্রবাসী হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং খুলনার মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্রী।

যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে কলেজছাত্রী উষা রহমান খুলনা থেকে রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি যশোরের নওয়াপাড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় ট্রেনে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশ মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে তাকে অবহিত করে। খবর পেয়ে এসআই শাহিদুল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নারী সদস্যসহ পুলিশের একটি দলকে স্টেশনে প্রস্তুত রাখেন। সন্ধ্যায় সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস যশোর জংশনে পৌঁছানো মাত্র অচেতন কলেজছাত্রীকে দ্রুত যশোর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর উষার জ্ঞান ফেরে। এরপর পুলিশ তার পরিবারের তথ্য নিয়ে স্বজনদের ফোন করেন। রাতে বাঘারপাড়া থেকে স্বজনরা এসে কলেজছাত্রী উষা রহমানকে পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নেন।

কলেজছাত্রী উষা রহমানের মা হামিদা রহমান বলেন, বুধবার দুপুরে উষা খুলনায় মুমূর্ষু এক শিশুকে রক্ত দেয়। এরপর সে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠে। রক্ত দেয়ায় শারীরিক দুর্বলতার কারণে অচেতন হয়ে যায়। সন্ধ্যারাতে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হামিদা রহমান আরও বলেন, মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার থেকে শুরু করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি এবং বাড়িতে খবর দিয়ে পুলিশ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। সাধারণ মানুষ পুলিশকে সবসময় এমন মানবিক ভূমিকায় দেখতে চায়।

রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি দাঁতকপাটি লাগা অচেতন অবস্থায় তারা পেয়েছিলেন। এরপর পুলিশের কর্তব্য হিসেবেই তারা দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং স্বজনদের সংবাদ দেন। পরে তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *