মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ, ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উত্তোলন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর আজম খান (৪৬) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আদালতের নির্দেশে মিরসরাই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে থানা পুলিশ মরদেহটি উত্তোলন করে। এরপরে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন নিজামপুর কলেজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি)মাসুদ খান। শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ সময় মামলার বাদি আজম খানের ছোট বোন নার্গিস আক্তার ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আজম খান হত্যার বিচার চেয়ে আজম খানের স্ত্রী ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আজম খান চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবুতোরাব বাজার সংলগ্ন মুক্তার আহমেদ বাড়ি রফিকুল ইসলাম প্রকাশ টুকুর বড় ছেলে।
নিজামপুর কলেজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ খান বলেন, মৃত্যুর ১৫ দিন পর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশের গায়ের চামড়া এক প্রকার উঠে গেছে পচন ধরেছে শরীরে। এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন বিস্তারিত।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বাকি বিষয়গুলো আদালত ও পুলিশের কাজ এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।
গত ৯ এপ্রিল ব্যাংক এশিয়ার ফেনীর ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার আজম খান (৪৬) এর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। তবে এ মুত্যুকে আজম খানের মৃত্যু স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হৃদরোগে হয়েছে দাবি করলেও তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় সন্দেহ পোষণ করেন আজম খানের বোন নার্গিস আক্তার। এ ঘটনায় নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৬) স্ত্রীর বড় বোন লুৎফর নাহার(৩৯), বড় বোনের ছেলে তানভীর (৩১) ও স্ত্রীর ভাই ফারুকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় আজম খানের স্ত্রী কামরুন নাহারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি। এবং আদালত ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।