দেশজুড়ে

মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ, দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জীবিতরা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের পুর্নারঝাড় গ্রামের বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম। পাঁচ বছর ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছিলেন। ছয় মাস আগে হঠাৎ করেই তার ভাতা আসা বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কয়েকবার ধরনা দিয়ে জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন, তার নামের বরাদ্দ করা বয়স্ক ভাতা বাতিল করা হয়েছে। তাকে কীভাবে মৃত দেখানো হলো, কারা এমনটি করল, এর কিছুই জানেন না তিনি।

শুধু হামিদুল ইসলাম নয়, তার মতো উপজেলার অনেক জীবিত ভাতাভোগী এখন কাগজে-কলমে মৃত বলে জানা গেছে। তারা বেঁচে থেকেও ভাতা পাচ্ছেন না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের মৃত দেখিয়ে কার্ড বাতিল করেছে সমাজসেবা কার্যালয়। আবার অনেক ভাতাভোগীর ফোন নম্বর গোপনে পরিবর্তন করে ভাতাবঞ্চিত করা হয়েছে। ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না তারা। এসব বিষয়ে অভিযোগ জানালে হয়রানি ও অসদাচরণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

তাদের দাবি, মাসে ৬০০ টাকা ভাতা একজন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত না হলেও এটি নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান। তাই এ সম্মান ফিরে পেতে চান তারা।

এসব বিষয়ে কথা হয় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মৃত্যুসনদ ছাড়া ভাতা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনায় তদন্ত করে কোনো অনিয়ম পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *