মেসওয়াকের উত্তম সময়
মেসওয়াক করলে দরিদ্র্যতা দূর হয়ে সচ্ছলতা আসে এবং উপার্জন বাড়ে। পাকস্থলী শক্তিশালী হয়। জ্ঞান ও স্মরণ শক্তি বাড়ে। কলুষমুক্ত অন্তর তৈরি হয়।
ফেরেশতারা মেসওয়াককারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সর্বোপরি নিয়মিত মেসওয়াক করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। তাহলে চলুন জেনে নিই মেসওয়াকের উত্তম সময় ও নিয়মগুলো—
মেসওয়াক যেভাবে করবেন
মুখের ডানদিক থেকে মেসওয়াক শুরু করা। দাঁতের প্রস্থের দিক থেকে মেসওয়াক করা। অর্থাৎ দৈর্ঘের দিক থেকে (উপর-নিচে) নয়।
ডানহাতের কনিষ্ঠ আঙুল মেসওয়াকের নিচে রেখে আর তর্জনী, মধ্যমা ও শাহাদাত আঙুল মেসওয়াকের ওপর রেখে বৃদ্ধ আঙুলের পেট দিয়ে ভালোভাবে ধরা।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে নিয়মটি বর্ণিত হয়েছে।
মেসওয়াকের উত্তম সময়
ঘুম থেকে ওঠার পর মেসওয়াক করা।
অজুতে কুলি করার আগে মেসওয়াক করা। অনেকে ওজুর শুরু করার আগে মেসওয়াক করার কথা বলেছেন।
নামাজ আদায়ের আগে মেসওয়াক করা।
কুরআন-হাদিস পড়ার আগে মেসওয়াক করাকে অনেকে মুস্তাহাব বলেছেন।
মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের আগে মেওয়াক করা।
কোনো মজলিসে যাওয়ার আগে মেসওয়াক করা।
ঘরে প্রবেশ করে মেসওয়াক করা।
মুখে দুর্গন্ধ ছড়ালে মেসওয়াক করা।
দাঁতে হলুদ আবরণ বা ময়লাযুক্ত হলে মেসওয়াক করা।
ক্ষুধা লাগলে মেসওয়াক করা। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেসওয়াক করা।