খেলা

মেসির ফেরার ম্যাচে মায়ামির জয়

লিওনেল মেসিকে ছাড়া আগের ম্যাচে ফ্লোরিডা ডার্বিতে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে জিততে পারেনি ইন্টার মায়ামি। আজকের ম্যাচেও শঙ্কা ছিল মেসির খেলা নিয়ে। তবে শঙ্কা কাটিয়ে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর মেসি দলে ফিরতেই আবারও জয়ে ফিরল মায়ামিও। ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির জয়টি ১–০ গোলে। যোগ করা সময়ে মায়ামিকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন লিওনার্দো কাম্পানা।

ম্যাচের বেশির ভাগ সময় ইন্টার মায়ামি দাপট দেখালেও একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে। তবে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে চমক দেখান কাম্পানা।

প্রায় মাঝমাঠ থেকে সের্হিও বুসকেতসের দারুণভাবে বাড়ানো বলকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়ান ইকুয়েডরিয়ান এ ফরোয়ার্ড। এই জয়ে ১৫ ম্যাচ শেষে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষেই থাকল মায়ামি। ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট এখন ৩১।

মায়ামির চেজ স্টেডিয়ামে বাজে আবহাওয়ার কারণে এদিন খেলা শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর অবশ্য বলের দখল রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে মায়ামি। মেসি–লুইস সুয়ারেজদের পাসিং ফুটবলের বিপরীতে ডিসি ইউনাইটেড চেষ্টা করে প্রতি–আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলে সুযোগ তৈরির। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের ভারসাম্য ধরে রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এ সময় ডিসি ইউনাইটেডের বক্সের বাইরে সুয়ারেজ ফাউলের শিকার হলে ফ্রি–কিক পায় মায়ামি। মানবপ্রাচীরে মেরে সেই সুযোগটি হাতছাড়া করেন মেসি। এরপর বৃষ্টির বেগ কমে এলে স্বাভাবিক খেলায় ফেরার চেষ্টা করে দুই দলের খেলোয়াড়েরা। এর মধ্যেই অবশ্য শেষ হয়ে যায় প্রথমার্ধের খেলাও।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অবশ্য ভালোই খেলছিল ডিসি ইউনাইটেড। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। তবে ধীরে ধীরে মায়ামি মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ৭০ মিনিটে মেসির দূরপাল্লার শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে ডিসি ইউনাইটেডের রক্ষণাত্মক ফুটবলের সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে আক্রমণে যায় মায়ামি। তারই ধারাবাহিকতায় যোগ করা সময়ে মেসিরা পেয়ে যান জয়সূচক গোলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *