মৌসুমীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, যা বললেন ওমর সানী
চেক ডিজঅনার মামলায় চিত্রনায়িকা মৌসুমীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেক ডিজঅনার মামলায় গেল ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় আবার সমন পাঠানো হয়।
সমন জারির পর মৌসুমী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকছেন মৌসুমী। এর মধ্যেই নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল। বিষয়টি নিয়ে কথা কথা বলেছেন মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।
গণমাধ্যমকে ওমর সানী বলেন, এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার, যেমন এক কোটি, দুই কোটি, তিন কোটি, পাঁচ কোটি টাকার মতো শতাধিক ঋণখেলাপিকে আমি চিনি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে তারা পরিশোধ করেনি। সেখানে মৌসুমীর কয়েক লাখ টাকার ঋণের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেছে! এটা মৌসুমীকে অসম্মান ও অপদস্থ করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, নামটা যেহেতু মৌসুমী, তাই ভাইরাল করার চেষ্টা করল। সামান্য কিছু টাকার জন্য মৌসুমীকে যদি অসম্মান করা হয়, তাহলে অন্য কোটি কোটি ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন!
সানীর কথায়, মার্সিডিজ গাড়ি বাবদ মৌসুমী ঋণ নিয়েছিল। ৮ কি ১১টা চেকও দেওয়া আছে। মৌসুমী দেশের বাইরে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমি তাদের বলেছি, আমি তো গুলশানে থাকি না, বসুন্ধরায় থাকি। চিঠি ওখানে পাঠিয়ে দিয়েন। এরপর বলল ঠিক আছে, পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপরও তারা গুলশানের সেই ঠিকানায় চিঠি পাঠায়। এরপর আমি বলেছি, আমাদের একটা বিপর্যয় ঘটেছে। টাকার কিস্তিটা আরেকটু কমিয়ে দিলে ভালো হয়। আমাকে কিছুদিন সময় দেন। এক লাখ টাকা আমার পক্ষে এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ওই সময়ে মৌসুমী ও আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়েও জটিলতা হয়। তাই লেনদেন বন্ধ ছিল।
ওমর সানী আরও বলেন, মৌসুমী যে চেকগুলো দিয়েছিল, সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ছিল। সবকিছু বুঝিয়ে বলার পরও তারা কোনো কথা শোনেনি। এই সামান্য টাকার জন্য মৌসুমী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে! আমি ওর হাজব্যান্ড, আমি বারবার বলছি, আপনারা এসব ভাববেন কেন।
এখন বিষয়টি আইনগতভাবে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন ওমর সানী। তিনি মনে করেন, ঘটনাটি মৌসুমীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করা হয়েছে।