লাইফস্টাইল

যত্নে বেড়ে উঠুক আপনার সোনামনি

শিশুর সঠিক বেড়ে ওঠা ও যত্ন নিয়ে নতুন বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। একটু সচেতন থেকে কিছু বিষয় মনে রাখুন, তাহলে আর বাড়তি ঝামেলা নেই। দুশ্চিন্তা মুক্তভাবে বেড়ে উঠবে আপনার শিশু।

কোলে নেওয়া

ছোট্ট শিশুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় এক হাত মাথার নিচে রেখে সাপোর্ট দিতে হবে। কখনো মাথায় বা এক হাতে ধরে ঝুলিয়ে যেন তুলে না নেওয়া হয়।

শিশুকে শোয়ানো
বেশি তুলতুলে নরম বিছানায় নবজাতক শিশুকে শোয়ানো উচিত নয়। এতে করে সে উল্টে গিয়ে তার নাক-মুখ চেপে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিছুটা শক্ত বিছানা ও দুই পাশে ছোট বালিশ ব্যবহার করুন।

জাগানো
এমনিতেই শিশুরা বেশি ঘুমাতে চায় না। তাই ঘুমের পর যদি শিশুকে জাগাতেই হয়, তবে তীব্র কোনো বাজনা বাজানো বা শব্দ সৃষ্টি না করাই ভালো। তাকে আলতোভাবে চুম্বন-স্পর্শ করুন অথবা আলতোভাবে গায়ে সুড়সুড়ি দিন। তাতেই দেখবেন ও মিষ্টি করে হেসে জেগে উঠবে।

শিশুর সঙ্গে খেলা
খেলাধুলা আপনার শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক। তাই ছোট্ট শিশুকে নিয়ে খেলা করুন। আপনার বাবুর খেলনাগুলোকে অবশ্যই পরিষ্কার করে তার হাতের কাছে দিন।

শিশুকে শান্ত করানো
সাধারণত শিশুদের জিদটা একটু বেশি। তাদের অপছন্দের কোনও কিছু করলেই তারা চিৎকার চেচামেচি করে। আর তাই শিশুকে শান্ত করার সময় এমন কিছু করা উচিত না যা তার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশুকে শান্ত করতে মায়া-মমতায় আলতো পরশে পিঠে হাত বুলিয়ে দিন। তাকে কাঁধেও নিতে পারেন। তবে অবশ্যই সাবধানে। দেখবেন শিশুর কান্না থেমে যাবে।

হাসাতে
শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য শিশুর ভালো লাগে এমন কিছু করতে পারেন। আপনার শিশুর বয়স অনুযায়ী রংবে-রঙের পুতুল ও খেলনা নিয়ে তার সঙ্গে মজা করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় শিশুকে হাসানোর জন্য তার মুখে আঙুল দিয়ে নাড়ানাড়ি কিংবা মাথার উপর তুলে দোলানো হয়, যা কখনো উচিত নয়। এতে করে শিশুর পেট খারাপ ও বোমি করে দিতে পারে।

পরিষ্কার রাখতে
শিশুকে তো সব সময় পরিষ্কার রাখতেই হবে, সেই সঙ্গে শিশুর ব্যবহার করা সব কিছুই পরিষ্কার হতে হবে।

বুকের দুধ পান
মায়ের বুকের দুধ শিশুর প্রধান খাবার। তবে শিশুকে বুকের দুধ পানের সঠিক অবস্থান জেনে নিতে হবে।

খাবার খাওয়ানো
শিশুকে বাইরের ও বাসি খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। ঘরে তৈরি হালকা ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। অনেক শিশুর পুষ্টিকর খাবার ও শাকসবজির প্রতি অনীহা থাকে। জোর না করে কৌশলে ওদের এসব খাবার খাওয়ান। খাবার খাওয়ানোর সময় তাদের সঙ্গে গল্প করুন। বোতলজাত ফলের রস, কোমল পানীয় না কিনে বরং বাসায় ফল থেকে রস তৈরি করে শিশুকে খাওয়ান।

শিশুর পোশাক
শিশুদের জন্য পোশাক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্যই নরম, পাতলা সুতি কাপড়ের একটু ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে।

চুল
গরমে শিশুর চুল ছোট রাখাই ভালো। এতে ঘামে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকবে না। আর ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে চুলটা মুছে দিতে হবে, যাতে করে ঠান্ডা লেগে না যায়।

পরম আদরে আর যত্নে বেড়ে উঠুক আপনার সোনামনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *