দেশজুড়ে

যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দী ৩৫ হাজার মানুষ

জামালপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে ইতোমধ্যেই জেলার যমুনা, ব্রহ্মপুত্রনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) যমুনা নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ৫টি উপজেলার নদীতীরবর্তী ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে।

পানির প্রচন্ড তোড়ে এরই মধ্যে ভেঙ্গে গেছে দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী ও দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী পাকা সড়ক। সড়কের ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে হু-হু করে ঢুকছে বন্যার পানি। ফলে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েক ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

দ্রুত বন্যার কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন জেলার অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ। দূর্গত এলাকার অনেক মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উচু রাস্তায়, ঘরে টং পেতে বসবাস করছে। পানি ওঠার কারণে দূর্গত এলাকার ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আগামী চার দিন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এবারে মাঝারি আকারের বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর জানান, দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জিআরের চাল ও শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে দূর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় চাল ও শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *