খেলা

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের কারণ জানালেন সাকিব

যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হার। বিশ্বকাপের আগে দলের এমন করুণ পরিণতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান। র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৯তম দলের বিপক্ষে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পেছনে ব্যাটিংয়ে পর্যাপ্ত অনুশীলনের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ। ঘরের মাটিতে সিকান্দার রাজাদের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন সাকিব জানিয়েছিলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হয় না। সে দলের তুলনায় আরও ৭ ধাপ নিচে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র।

যাদের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের আশা ছিল, উল্টো তাদের কাছেই কিনা ধবলধোলাই হওয়ার শঙ্কা। প্রথম ম্যাচের হারের দায় নাহয় অপরিচিত উইকেট আর কন্ডিশন দেয়া যেত। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৫ রান তুলতেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। তাও কিনা আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে যে দলের কোনো বোলার প্রথম ১০০ জনের তালিকাতেও নেই, তাদের বিপক্ষে! রান তাড়ায় নেমে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। এরপরই হয় ছন্দপতন। দলীয় ১৩৮ রানের মধ্যেই নেই বাকি ৮ উইকেট।

দলের ব্যাটারদের এমন নাজেহাল অবস্থা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে আসা অভিজ্ঞ সাকিবের কাছে। সেখানে তিনি হারের কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন পর্যাপ্ত অনুশীলনের ঘাটতিকে। প্রস্তুতিতে অবহেলার দায় দিয়েছেন ব্যাটারদেরও।

সাকিব বলেন, ‘একদিন আমাদের প্রোপার নেট সেশন হয়েছে। তাও ব্যাটাররা যতটুকু ব্যাটিং করার দরকার সেটা করতে পারেনি। আমার কাছে যেটা আদর্শ মনে হয় না। একদিন ছিল ঐচ্ছিক, সেখানে ব্যাটাররা সুযোগ নেয়নি। আপনি দুটোতেই দোষ দিতে পারেন। যেদিন সুযোগ ছিল সেদিন কেন ব্যাটাররা এসে ব্যাটিং করল না! আবার এটাও বলতে পারেন, যেহেতু আমরা (বিশ্বকাপের) প্রস্তুতিমূলক সিরিজ হিসেবে নিয়েছিলাম, কেন আমরা এ সুবিধাগুলো গুলো নিতে পারলাম না। দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে। এই জিনিসগুলো আমাদের অনেক ভালো হওয়ার দরকার ছিল।’

প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানের হার। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াবেন এমনটা প্রত্যাশাই করেননি সাকিব। বিষয়টিকে তিনি হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছেন।

সাকিব বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি নাই। আমার ধারণা, কেউই ভাবেনি আমরা দুইটা ম্যাচ হেরে যাব। সেখান থেকে তো অবশ্যই হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে খেলেছে তাদের কৃতিত্ব দিতে হয়।’

এদিন টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন করলে সাকিব জানান, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো উত্তর নেই। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মিশন আপাতত ২৫ মে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয় তুলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *