খেলা

যেমন বাবা, তেমন ছেলে

টাইব্রেকারের দিকেই এগোচ্ছিল ম্যাচ। ১১৮ মিনিট খেলেও বিচ্ছিন্ন করা যায়নি দুই দলকে।

কিন্তু ঠিক পরের মিনিটেই দানি অলমোর ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে স্পেন সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান মিকেল মেরিনো। তার জয়সূচক গোলেই স্বাগতিক জার্মানিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে ওঠে স্পেন।

এই স্টুটগার্টের মাঠেই খেলেছেন মেরিনোর বাবা আনহেল মেরিনো। করেছেন গোলও। ১৯৯১ সালে উয়েফা কাপের দ্বিতীয় লেগে ওসাসুনার হয়ে গোল করার পর কর্নার ফ্ল্যাগের পাশ ঘুরে উদযাপন করেন তিনি। ৩৩ বছর পর একইভাবে উদযাপন করে সেই পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন তার ছেলে মিকেল।

জয়ের পর মিকেল মেরিনো বলেন, ‘স্টেডিয়ামটিতে এমন কিছু আছে, যা আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। আমার বাবাও এখানে গোল করেছেন। তাই স্টেডিয়ামটি আমাদের জন্য স্পেশাল। ‘

গোলের পর ছেলের সেই উদযাপন দেখে গর্বে বুক ফুলে ওঠে আনহেল মারিকোর। যদিও কাদেনা সারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মজা করে তিনি বলেন, ‘(উদযাপনের) উদ্দেশ্য ছিল আমাকে খাটো করে দেখানোর। যদিও ইতোমধ্যেই সে আমাকে ছাড়িয়ে গেছে, এখন আমার কাছে স্টুটগার্টে করা সেই গোলের বিশেষত্ব নেই। এখন আমাকে চুপ থাকতে হবে এবং তাকে একটি বড় চুমু দিতে হবে, কারণ সে এটার যোগ্য । ‘

চার বছর আগে স্টুটগার্টেই জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে স্পেনের জার্সিতে অভিষেক হয় মিকেল মেরিনো। বর্তমানে রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়ে খেলছেন এই মিডফিল্ডার। তার বাবা অবশ্য কখনোই স্পেনের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি। ১৭ বছরের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে ছয়টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন সাবেক এই মিডফিল্ডার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *