লাইফস্টাইল

যেসব ভুলে নিশ্চুপে বাড়ছে হাই ব্লাড প্রেশার

বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন।

উচ্চ রক্তচাপের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

উচ্চ রক্তচাপের পেছনে কয়েকটি লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরকে দায়ী করা হয়। এর মধ্যে ওবেসিটি, ধূমপানের মতো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ভারতীয় চিকিৎসক সব্যসাচী পাল বলছেন, নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন অ্যারোবিক ব্যায়াম করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অন্যদিকে, শরীরের ওজন বেড়ে গেলে, ওবেসিটিতে ভুগলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ওবেসিটির জেরে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এখান থেকেও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

প্রিজারভেটিভ, চিনি ও লবণ দেওয়া প্রক্রিয়াজাত খাবারকেও হাইপারটেনশনের জন্য দায়ী করছেন এই চিকিৎসক। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি, সোডিয়াম থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্ট ফুড ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। ধূমপান ও মদ্যপান থেকেও দূরে থাকতে হবে।

এ ছাড়া স্ট্রেস বা মানসিক চাপও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। মানসিক চাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

হাইপারটেশনের রোগী হলে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে এবং চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। হাইপারটেশনে আক্রান্ত হলেও অনেকেই চিকিৎসা করান না। এমনকি চিকিৎসাধীনও থাকেন না। অনেক মানুষ জানেনই না যে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। যেহেতু তারা কখনওই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপেন না। আর যারা এই স্বাস্থ্য অবস্থা সম্পর্কে সচেতন এবং হাইপারটেনশনের রোগী তাদের মধ্যে অর্ধেক রোগী রোজ ওষুধ খান না। আর এর জেরেই ধীরে ধীরে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *