রাঙ্গুনিয়া-মীরসরাইয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
রাঙ্গুনিয়ায় বোরো ধান চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৩১৫ হেক্টর। কৃষকরা আবাদ করেছেন ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকরা। তাপদাহের মধ্যেই এখন গুমাইবিলে চলছে ধানা কাটা।
এদিকে মীরসরাইয়ে নতুন উদ্ভাবিত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বোরো জাতের বিনা ধান-২৫ চাষাবাদেও ভালো ফলন হয়েছে। বাসমতি চালের বিকল্প হিসেবে এ ধান চাষাবাদে চিকন চাল আমদানি কমানো যাবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগরে গুমাইবিলে ১০ হেক্টর জমিতে ব্রি-৮৮ জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষক মো. ফরিদ। তিনি জানান, ফলন ভালো হয়েছে। পোকার আক্রমণ দেখা যায়নি। ঝড়-বৃষ্টি শুরুর আগেই ধান ঘরে তুলতে চাই।
এলাকার কৃষক মো. নুর উদ্দীন ৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ব্রি-৮৮ জাতের ধান চাষ করেছেন ৫ হেক্টর জমিতে। এখন ১ হেক্টর জমি থেকে গরমের মধ্যেই ধান কাটা চলছে। শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে।
গুমাইবিলসহ রাঙ্গুনিয়ার জমিতে ১০ হাজার কৃষক বোরো চাষ করেছেন। তারা পানি, সার, বীজ পেয়েছেন সময়মতো।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীল জানান, ধানে চিটা নেই। আগাম বোরো চাষে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়ে খুশি। আমরা কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছি।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চলতি মৌসুমে মীরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো বিনা-২৫ ধান আবাদ করা হয়েছে। হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর, মীরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এই ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। একাধিক কৃষককে ২ একর জমির জন্য ২০ কেজি করে বিনামূল্যে ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়।
হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে দুই একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বিনা-২৫ ধান চাষ করেছেন বাবুল, পলাশ, রাজু, সুমন ও কমল। তারা জানান, কৃষি প্রণোদনা পেয়ে দুই একর জমিতে পরীক্ষামূলক বিনা-২৫ ধানের আবাদ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য জাতের তুলনায় বিনা ধান-২৫ জাতে শীষপ্রতি ধানের পরিমাণও বেশি। বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। এই ধানের বাজার মূল্যও বেশি। এক সপ্তাহ পর ধান কাটা শুরু হবে।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, বিনা-২৫ ধান পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদে ফলন ভালো হয়েছে। এই ধানটি বাসমতি চালের বিকল্প হতে পারে। এই জাত আবাদে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।