জাতীয়

রাজধানীতে এক শিক্ষার্থী ও চলচ্চিত্র প্রযোজকের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীতে পৃথক দুই জায়গা থেকৈ এক শিক্ষার্থী ও এক চলচিত্র প্রযোজকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে খিলগাঁওয়ে মাগুরা সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী বনি ইয়াসমিন (২০) এবং বুধবার তিনগত রাতে হাজারীবাগে চলচ্চিত্র প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রুহানের (২৭) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।

খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শিহাব বাহাদুর শিক্ষার্থী পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, বনি ইয়াসমিন মাস খানেক আগে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে সে মন খারাপ করে থাকতো, বোন মন খারাপের বিষয়ে জানতে চাইতো, কিন্তু তিনি বলতেন, কিছুই হয় নি। গতরাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে ছোট ভাগিনাকে নিয়ে ড্রইং রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার বোন ঘুম থেকে উঠে তাকে ফ্যানে সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে আমাদের সংবাদ দিলে আমরা সেখান গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া ঢামেক মর্গে পাঠাই ।

বনি ইয়ামিনের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ফড়িঘড়িয়া গ্রামে। খিলগাঁও আনসার হেড কোয়ার্টার সংলগ্ন ২৮৩/সি নম্বর বাসার নিচতলার ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলামের বাসায় থাকতেন তিনি।

অন্যদিকে হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, বুধবার দিনগত রাতে খবর পেয়ে পূর্ব রায়ের বাজার এলাকায় চলচ্চিত্র প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রোহানের ঝুলন্ড লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল মর্গে মৃত রুহানের খালাতো ভাই মনজুরুল হাসান অলি জানান, গত দুই থেকে আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন রুহান। স্ত্রী নিয়ে রায়েরবাজার শেরেবাংলা রোডে থাকতেন। তবে মাসখানেক আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকেই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন রোহান। ডিভোর্সের কিছুদিন আগ থেকেই মেসে থাকা শুরু করেন। গত রাত ১টার দিকে রুহানের সহকর্মীদের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান তারা।

মাসুদুল মাহমুদ রুহান ‘রেডরাম’ চলচ্চিত্র, ‘দ্যা সাইলেন্স’ ওয়েব সিরিজ, ‘আমি কি তুমি’সহ আরও বহু নির্মাণে প্রযোজনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *