রাষ্ট্র সংস্কারের ও পুনর্গঠনের প্রশ্নে বিভাজন তৈরি হয়েছে : হাসনাত আবদুল্লাহ
রাষ্ট্র সংস্কারের ও পুনর্গঠনের প্রশ্ন যখনই এসেছে তখনই বিভাজন তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যখন বিভাজনের সময় আসে তখন আমরা এক হয়ে যাই। যেমন ৪৭ এর দেশভাগের সময়, ৯০ এর অভ্যুত্থানে, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা এক হয়ে গেছিলাম। এ সময় আমরা কাউকে জিজ্ঞেস করিনি কে সরকারি চাকরি করে- কে করেনা, কে বিসিএস ক্যাডার-কে ক্যাডার না। এভাবে পৃথিবীর সবকিছুতেই ভাঙার সময় এক হয়ে যাই, কিন্তু যখন গঠনের সময় আসে তখন বিভাজন হয়ে যাই। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ৫ ই আগস্টের আগে আমাদের মাঝে কোন ধরণের বিভেদ ছিল না। যখন রাষ্ট্র সংস্কারের ও পূর্ণগঠনের প্রশ্ন এসেছে তখনই বিভাজন তৈরি হয়েছে। যেমন হয়েছিল ৪৭ এর পর মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে। ঠিক তেমনি ৭১ সালেও।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি আসতে পারবো। শত শহীদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা মুক্ত আকাশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঠিক করবে আগামীর বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হবে। রাষ্ট্র সংস্কার কাজে আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা যদি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দর করতে সাজাতে পারি তাহলে তার ধারাবাহিকতায় পুরো বাংলাদেশ কে সাজাতে পারবো। যদি ক্যাম্পাসে কোন রাজনৈতিক দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিহিত করবো।’
সভায় শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার প্রসঙ্গে সমন্বয়কদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা ও উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হাসনাত আবদুল্লাহ সহ অন্যান্যদের অনুরোধে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।