পার্বত্য চট্টগ্রাম

রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, নারীসহ ১২ জন রিমান্ডে

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির মামলার কুকি-চিন ন্যাশন্যাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার করা এক নারীসহ ১২ জনকে নতুনভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (০৯ জুন) দুপুর ১টায় থানচি ও রোয়াংছড়ি থানার মামলার ১৩ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগার থেকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়।

পরে পুলিশ আদালতের কাছে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে। এসময় রিমান্ড শুনানি শেষে আদালাত রুমা ও থানচি থানার মামলার আসামি আকিম বমকে তিনটি মামলায় একদিন করে তিনদিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের এবং রোয়াংছড়ি থানার মামলায় সান জুম খুম বমকে একদিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ এবং রোয়াংছড়ি থানার মামলায় সান জুম খুম বমসহ চার আসামিকে দুদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এসময় বাকি আসামিরা একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন।

বান্দরবান আদালতের পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলা, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুট এবং পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এদিকে এসব ঘটনায় আসামিদের ধরতে বান্দরবানে শুরু হয়েছে যৌথবাহিনীর অভিযান। অভিযানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসারের সঙ্গে সঙ্গে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

এদিকে ঘটনার পর রুমা থানায় ১৩টি, থানচি থানায় চাটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ মোট ২১টি মামলা হয়। চলমান এ অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফের ৯২ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *