রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করে দিলেন ডাক্তার
অপারেশন শেষে পেটের মধ্যে কাঁচি রেখেই সেলাই করে দেন নারী চিকিৎসক। গর্ভজনিত প্রসব বেদনা নিয়ে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট ডাঃ খাইরুন্নেছা মুন্নীর অধীনে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মাফিয়া বেগম নামের এক নারী। ওইদিনই সিজার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করান চিকিৎসক।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অপারেশনের পর থেকে প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা করে তার। বেশ কয়েকবার ওই চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি স্বাভাবিক ব্যাথা বলে কিছু মেডিসিন দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর অসহ্য ব্যাথা নিয়ে দীর্ঘ ১ বছর ৫ দিন অতিক্রম করার পর বিভিন্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা নীরিক্ষা করেও কোন সমাধান না পেয়ে এক প্রকার নিজেই জোর করে একটি ল্যাবে গিয়ে এক্স-রে করলে পেটের মধ্যে ধরা পড়ে একটি স্টিলের কাঁচি।
কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারি হসপিটালে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ খাইরুন্নেছা মুন্নী।
দিনের পর দিন যখন ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায় ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ বাগিয়ে দেয় তারা। এর বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা ও আলট্রাসোনোগ্রাফি করেও রিপোর্টে কিছু না পেয়ে রোগীকে রেস্ট করতে বলেন ওই ডাক্তার।
এভাবে দিনের পর দিন ব্যাথার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও খুলনায় বিভিন্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন মাফিয়া। প্রতিটি ডাক্তার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে স্বাভাবিক আছে বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
ডাক্তারকে এক্স-রে ও আলট্রাসোনোগ্রাফি করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। ডাক্তার তার অনুরোধে বিরক্ত হয়ে বলেন, ডাক্তার আমি নাকি তুমি.? কি পরীক্ষা দিতে হবে না দিতে তা আমি বুঝব বলে তাড়িয়ে দেন। পরদিন আবার টিকেট কেটে অন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে অনুরোধ করে এক্স-রে করেন তিনি। এক্স-রের রিপোর্ট দেখে টেকনিশিয়ান ও রোগীর পরিবারের স্বজনদের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। রিপোর্টে দেখা যায় আস্ত একটা কাঁচি তার পেটের ভিতর।