রোনালদোর মাইলফলকের ম্যাচে পর্তুগালের জয়
বয়স কেবল মাত্র সংখ্যা। এটা প্রমান করেই চলছেন পর্তুগীজ ফুটবল যুবরাজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
৩৯ বছর বয়েসেও একের পর এক কীর্তি গড়ে চলেছেন তিনি। ইউরোর আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে জোড়া গোল করে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন তিনি। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে প্রীতি ম্যাচে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন রোনালদো। আর এই দুই গোলে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে টানা ২১ পঞ্জিকাবর্ষে গোলের কীর্তি গড়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
আগের দুই ম্যাচ দলের সঙ্গে থাকলেও মাঠে দেখা যায়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। রোনালদোবীহিন পর্তুগাল আক্রমণভাগের দুর্বলতায় প্রথমবারের মতো হেরে যায় ক্রোয়েশিয়ার কাছে। রোনালদো ফেরায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল পর্তুগীজ আক্রমণভাগ। রাফায়েল লেয়াও ও জোয়াও ফেলিক্সের সঙ্গে জুটি বেধে একের পর এক ধারালো আক্রমণ সাজান সিআর সেভেন।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে সেটি জালে জড়িয়ে দেন তিনি, গোলরক্ষক নড়ারও সময় পাননি। চার মিনিট পর রোনালদো প্রথম গোল পেতে পারতেন। তার ফ্রি কিক ডানদিকের পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
তবে রোনালদোকে আটকে রাখতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৫০ মিনিট) একজনকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের ঝলকে চোখ ধাঁধানো এক গোল করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি অরজয়ী তারকা। ১০ মিনিট পর আরেকটি দারুণ গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রোনালদো। বাঁ দিক থেকে দিয়োগো জটার পাস বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
আল নাসরের হয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৪৪ গোল করা রোনালদো এই বছর দেশের হয়ে প্রথম জালের দেখা পেলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড অনেক আগে থেকেই তার, সংখ্যাটা বেড়ে হলো ১৩০।
ফুটবলের রাজা পেলে তার পুরো ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছিলেন ৭৭টি, তার চেয়ে বেশি গোল (৭৮টি) রোনালদো জাতীয় দলের হয়ে করলেন বয়স ৩০ পার হওয়ার পর।
জার্মানিতে আগামী শুক্রবার পর্দা উঠবে এবারের ইউরোর। ১৯ জুন চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করবে রোনালদোর পর্তুগাল। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ তুরস্ক ও জর্জিয়া।