দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরে পানিবন্দি ৬ লাখ মানুষ, প্রস্তুত ১৮৯ আশ্রয়কেন্দ্র

অতি ভারী বৃষ্টিপাতে তালিয়ে গেছে লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের পানি নামতে না পারায় বাড়ির উঠান, মাঠ-ঘাট, পুকুর, জলাশয়, ফসলি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

কারও কারও ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছচাষিরা।

জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা ছোট-বড় প্রায় সবগুলো খালেই অবৈধ বাঁধ এবং দখলদারের কবলে পড়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের হিসেব মতে, জেলাতে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। তবে কেউ এখনও কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেনি। জেলায় ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে বৃষ্টির পানি মেঘনায় নেমে যেতে জেলার ছোট-বড় সবগুলো স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে লক্ষ্মীপুরের সবগুলো স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মীরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। মেঘনা নদীতে ভাটা পড়ার সময় স্লুইস গেট দিয়ে খালের পানি নদীতে নেমে যাচ্ছে। নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়লে গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, বিভিন্ন খালে প্রতিবন্ধকতা থাকায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নামতে পারছে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জেলার ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ করছেন।

তিনি জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *