লজ্জাজনক হার নিয়ে মূল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বেও বাংলাদেশের ব্যাটিং দৈন্য দশার কোনো পরিবর্তন হলো না।
ফলশ্রুতিতে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লজ্জাজনক হার নিয়েই মূল বিশ্বকাপ খেলতে নামবে টাইগাররা।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ভারত ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিজেদের শেষ মুহূর্তে ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটি সারতে হতো তাদের। কিন্তু ব্যাটিং-বোলিংয়ের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির জায়গা তেমন একটা নেই।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের প্রস্তুতি ম্যাচে ৬০ রানে হারে বাংলাদেশ। ভারতের ১৮২ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ১২২ রানের বেশি করতে পারেননি শান্তর নেতৃত্বাধীন দল।
নবনির্মিত স্টেডিয়ামের ড্রপ-ইন পিচে প্রথম ইনিংসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বল কিছুটা থেমে এসেছে। আউটফিল্ডও ছিল কিছুটা ভারী। এর মাঝেও অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করে ভারত। কিন্তু রানের পথ খুঁজে নিতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে দলীয় ১০ রানের মধ্যে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন সৌম্য, লিটন ও শান্ত। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন সৌম্য। আর্শদিপ সিংয়ের পরের ওভারে বোল্ড হন ৮ বলে ৬ রান করা লিটন। মোহাম্মদ সিরাজের বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় মিড অনে ক্যাচ দেন শান্ত। ৬ বল খেলে রান করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসানের সঙ্গে সৌম্যকে নামানোয় ব্যাটিং অর্ডারও বদলে যায়। তিনে খেলেন লিটন, চারে শান্ত। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চার নম্বরে ভালো করা তাওহিদ হৃদয়কে পাঠানো হয় পাঁচে। ছন্দে থাকা তানজিদ ও হৃদয়ও এদিন তেমন কিছু করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৩ রান করে ফেরেন হৃদয়। ১৭ রান করতে ১৮ বল খেলেন তানজিদ।
৪১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ওয়ানডে ধাচের ব্যাটিং শুরু করেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। বিশেষ করে নতুন স্টান্স ও হেড পজিশনে সাকিবের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তি ছিল স্পষ্ট। মাহমুদউল্লাহও শুরুতে সাবলীল খেলতে পারেননি।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৩ রান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার পরপর তিন বলে ছক্কা ও দুটি চার মেরে ওভার থেকে ২০ রান নেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে কিছুটা বাড়ে রানের গতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি তেমন কাজে লাগেনি।
১৯তম ওভারের শুরুতে আহত অবসর হয়ে উঠে যান মাহমুদউল্লাহ। এক পর্যায়ে ১৫ বলে ১৫ রান থেকে শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৪০ রান করেন তিনি। ৪ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
শেষ ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর শর্ট বলে কট বিহাইন্ড হন সাকিব। অস্বস্তিময় ব্যাটিংয়ে ২ চারে ৩৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, জাকের আলিরা নিজেদের ব্যাটিং ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য বেশি বল পাননি।