জাতীয়

লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ ও বাঁচার উপায়!

সারা বিশ্বে বাড়ছে লিভার ক্যানসারের দাপট। ক্যানসারজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি যেসব ক্যানসার দায়ী তার মধ্যে তৃতীয় লিভার ক্যানসার। আক্রান্তের নিরিখে এটি ষষ্ঠ। লিভার ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ প্রকার হল হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা (এইচসিসি)। এটি হেপাটোসাইট নামক লিভারের কোষে শুরু হয়।

যকৃত বা লিভার কোষগুলির ডিএনএ-তে পরিবর্তন বা মিউটেশন হয়, অনিয়ন্ত্রিতভাবে টিউমার ক্যানসারে পরিণত হয়, তখনই এইচসিসি ঘটে। এ ছাড়া ইন্ট্রাহেপ্যাটিক কোলাঞ্জিওকার্সিনোমা এবং হেপাটোব্লাস্টোমা ক্যানসার হতে পারে লিভারে। সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এইচসিসি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

লক্ষণঃ

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় কোনও লক্ষণই দেখা যায় না। তবে,

অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস, ধারাবাহিক পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, ক্রমাগত ক্ষুধা হ্রাস, সাধারণ দুর্বলতা এবং ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, সাদা মল, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বাঁচার উপায়ঃ

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন-  জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট অনুসারে, নবজাতকদের হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া শিশুদের মধ্যে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কম দেখা গেছে।

হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সির উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে সিরোসিস হতে পারে। এতে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইচসিসির প্রবণতা বাড়ে।

চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এইচসিসির জন্য নিয়মিত পরীক্ষা প্রয়োজন। আলফা-ফেটোপ্রোটিনের জন্য আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান এবং রক্ত ​​​​পরীক্ষা করা যেতে পারে। সূত্র- নিউজ ১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *