চট্টগ্রাম

লোহাগাড়ায় খালের ভাঙনের যাতায়াত বন্ধ, প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খালের ভাঙনে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানির সঙ্গে দুশ্চিন্তা বেড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। একইসাথে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক হাজার মানুষের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের সরদানী পাড়ার শেষপ্রান্তে গারাঙ্গিয়া-রশিদিয়া সড়কে ডলু খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সড়কসহ পাড়ের একটি অংশ প্রায় ভেঙে পড়েছে। ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে বাকিঅংশ ভেঙে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক হাজার মানুষের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।

এ অংশটুকু এক বছর ধরে ভাঙন শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়া খালের কিছু অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিসি ব্লক বসিয়েছেন। এ অংশটুকু এখনো কাজ না করায় পাশের পানির চাপ পড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, এক বছর ধরে খাল পাড়ের এই অবস্থা। আমাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বারবার অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। চলতি বর্ষার শুরুতে প্রায় পুরোপুরি ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

আলি আহমেদ বলেন, খাল পাড়ের এ অংশটি প্রায় ভেঙে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বাকিঅংশ ভেঙে সরদানী পাড়া, সওদাগর পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, মছদিয়া ও আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিতে ডুবে যাবে। যদি পানিতে ডুবে যায় শত শত পরিবারের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে। এখন ডলু খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে থৈথৈ অবস্থা। বৃষ্টি যত বাড়ছে পানি বেড়ে আশেপাশে আরও ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আতঙ্কে এলাকাবাসীর নির্ঘুম রাত কাটছে।

শহীদুল ইসলাম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণের যাতায়াত বন্ধের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও পড়েছে বিপাকে। এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, হাজী শামসুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয় এবং মছদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রচুর শিক্ষার্থী। ভাঙনের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে।

আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বলেন, আমরা এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার জানিয়েছি। তারা এটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধীমান কৃষ্ণ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের একটি টিম ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এবং জরুরি ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *