চট্টগ্রামলোহাগাড়া

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনে খোরশেদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি সিরাজ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে।

সোমবার (৩ জুন) প্রচার উৎসবের শেষদিন সকাল থেকে সরগরম হয়ে উঠে পুরো উপজেলা।

প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে শেষবেলায় জমে উঠে গণসংযোগ আর পথসভা। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চাওয়ার সঙ্গে দেন নানা প্রতিশ্রুতি।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন ৩ জন। তারমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী আনারস প্রতীক, চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ইসলাম চৌধুরী ঘোড়া এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাবুদ সৈয়দ মোটরসাইকেল প্রতীকে নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে, খোরশেদ আলম চৌধুরীর পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণের একটি অংশ।

অপরদিকে, সিরাজের পক্ষে কাজ করছেন উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের সমর্থকের একটি অংশ। এবারের নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারণ আমার অতীত রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন পর্যালোচনা করে মানুষ আমাকে ভোট দিবে।’

আনারস প্রতীকের প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। এবারের নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করছে। পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও আমার পক্ষে প্রচারণা করেছে। আশা করি সাধারণ জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।’

মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মাবুদ সৈয়দ বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সারাজীবন ন্যায়ের পক্ষে থেকেছি, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে।’

৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও এই উপজেলায় মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে শাহীন আক্তার (ফুটবল) ও জেসমিন আকতার (কলস)। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মো. জামিল উদ্দীন (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ সরওয়ার মামুন (চশমা) ও ফরহাদুল ইসলাম (তালা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা প্রার্থীসহ উপজেলাবাসীর। এখন দেখার বিষয় আগামী ৫ জুন ব্যালটের লড়াইয়ে কে জয়ী হচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইনামুল হাসান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কমিশন।

উল্লেখ্য, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৬২৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ১০৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪ হাজার ৫১৮ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *