শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের পাশেই চবি প্রশাসনের নাটক মঞ্চায়ন
দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। আর এর পাশেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রায় ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে প্রশাসন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সেখানে ‘দুর্নিবার সোনার বাংলা’ নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচিতে সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ.কে.এম. কৌশিক আহমেদ বলেন, আপনারা কেমন মাননীয় উপাচার্য ও উপ উপাচার্য? শিক্ষকদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। আজকে যারা গান করছে, নাটক করছে তারা আপনাদের প্রেশারে গান করছে। আমার কাছে খবর আছে, প্রক্টর সাহেব শিক্ষার্থীদের গান করার জন্য ফোর্স করছেন। শিক্ষার্থীরা কেঁদে কেঁদে আমাকে এসে বলছে, আমাদের গান করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়? কী শিক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথায় নিয়ে গেছেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন। আপনাদের লজ্জা থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে এখানে আমরাও গান করবো। গান দিয়ে আন্দোলন করবো। নাটক দিয়ে আন্দোলন হবে। কত প্রকার গান হতে পারে আগামীকাল থেকে দেখাবো।
তাঁর বক্তব্যের সাথে একাত্মতা পোষণ করে সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলা উদ্দিন বলেন, কিন্তু এই গান আমরা হয়তো এখানে করবো না। যদি আগামীকাল এই অবস্থান সমান্তরালভাবে চলে এমনো হতে পারে আমরা তিন তলায় (উপাচার্য কার্যালয়ে) গান গাইবো। আগামীকাল যাতে তিন তলায় গিয়ে গান গাইতে না হয় সেই ব্যবস্থা করবেন।
চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে ৭ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এই উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে এই প্রোগ্রাম করছি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
প্রসঙ্গত, দুই বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির আপত্তির মুখেই ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগ ও ১৮ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগ বোর্ড ডাকা হয়। ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে অবস্থান করে কোনও সুরাহা না হলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে টানা কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শীতকালীন বন্ধ ও নির্বাচনের কারণে ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ছিল। পরে ১৪ জানুয়ারি থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক সমিতি।