লাইফস্টাইল

শিশুকে স্তন্যপান করানো মায়েরা যে খাবার এড়িয়ে চলবেন

সন্তান জন্মের পর প্রথম ছয় মাস, সদ্যোজাতের জন্য মাতৃদুগ্ধ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা সকলেই জানেন। নবজাতকের পুষ্টি, বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য মাতৃদুগ্ধের ওপরই ভরসা করতে বলেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু আমাদের দেশে অনেক মা-ই অপুষ্টিতে ভোগেন। অনেক সময় দেখা যায় নতুন মায়েরা, সন্তানের চাহিদা অনুযায়ী দুধের জোগান দিতে পারছেন না। শারীরিক নানা কারণ থাকলেও, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে দুধের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, যেসব খাবার স্তন্যপান করানোর সময়ে খাওয়া যায় না, সেদিকে নজর দেওয়া বেশি জরুরি। তার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ক্যাফিনযুক্ত খাবার। ক্যাফিন শুধু কফি নয়, চা, চকোলেটেও থাকে। আর কী কী খেলে তার প্রভাবে দুধের পরিমাণ কমে যেতে পারে?

স্তন্যপান করানোর সময় কোনো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত?

নতুন মায়েদের যদি কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার প্রভাব কিন্তু পড়বে সদ্যোজাতের ঘুমের ওপর। চিকিৎসকদের মতে, কফিতে থাকা ক্যাফিন, মায়ের দুধের মধ্য দিয়ে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করলে শুধু ঘুম নয়, সদ্যোজাতটির হজমের সমস্যাও হতে পারে।

এমন কিছু ভেষজ আছে, এর প্রভাবে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। এসব ভেষজকে ‘অ্যান্টি-গ্যালাক্টোগ্স’ও বলা হয়। পুদিনা সেই গোত্রের একটি ভেষজ, তাই স্তন্যদান চলাকালীন পুদিনা পাতা বা মিন্ট জাতীয় কোনো খাবার, লজেন্স না খাওয়াই ভালো।

এই সময় মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতেই হবে। কারণ মদ্যপান করলে মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ কমে যায়। সন্তানের চাহিদা অনুযায়ী দুধ উৎপন্ন না হলে, কখনওই বাচ্চার পেট ভর্তি হবে না। সারাক্ষণ তার মেজাজ বিগড়ে থাকবে।

নিকোটিন আছে এমন কোনো জিনিসই খাবেন না। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে ধূমপানের প্রভাব পড়বে আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যে।

কৃত্রিম চিনি দেওয়া মিষ্টিজাত খাবার তো বটেই, পারলে খাবারে সাধারণ চিনির ব্যবহারও কমিয়ে ফেলুন। বদলে খাবারে যোগ করুন গুড়। গুড় প্রাকৃতিকভাবে শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম। রক্তের জোগান ভালও থাকলে, দুধের পরিমাণও বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *