শিশু ওয়াসিম হত্যার ১৪ বছর, মামলার রায় রোববার
চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মিরসরাইয়ের আলোচিত শিশু কাজী মশিউর রহমান প্রকাশ ওয়াসিম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে রোববার (৯ জুন)।
ওয়াসিম মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির কাজী মোশাররফ হোসেন বাবলুর পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল ৫টায় মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির পূর্বপাশের ছনখোলায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ৫ বছর বয়সী শিশু ওয়াসিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
আসামি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনা খুলে বলে। পরিবারের পক্ষ থেকে আসামিকে পালিয়ে যেতে বললেও ঘরে লুকিয়ে থাকে। ওই রাতে আসামির পরিবারের সদস্যরা ছনখোলা থেকে শিশুর মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।
এদিকে শিশু ওয়াসিমকে না পেয়ে জেঠা কাজী একরামুল হক মিরসরাই থানায় ২৩ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। সেদিন শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল ছনখোলা থেকে আসামির মোবাইল ও শিশুর স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক হত্যাকারীকে সনাক্ত করে।
শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর মিরসরাই থানায় তার জেঠা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি দায়রা জজ আদালতে (নং-১১২৫/২০১২) চলমান থাকে। গত ২৯ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ও কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলার বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতে ৩০২/২০১ দণ্ডবিধির ধারায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব, তার ভাই কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বাবা ফজলুল কবির প্রকাশ হরমুজ মিয়া ও মা মিসেস নুর জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ফজলুল কবির ও নুর জাহান বেগম মারা যান। মামলার রায় ঘোষণা করা হবে রোববার (৯ জুন)।
শিশুর পিতা কাজী মোশাররফ হোসেন বাবলু বলেন, আমার আদরের সন্তান কাজী মশিউর রহমান ওয়াসিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।