শীতে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে পর্যটকরা ছুটে আসছে বান্দরবানে
শীতের শুরুতে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর তাই এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দেশের দূর-দূরান্তের জেলা হতে পর্যটকদের ভিড় জমে পাহাড় কন্যা বান্দরবানে। জেলা সদর ছাড়াও উপজেলাগুলোর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক দর্শনার্থী সংখ্যা বাড়তে থাকে।
পর্যটকদের ভ্রমণের তালিকায় স্থান পাচ্ছে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নাফাকুম, ডিম পাহাড়, বড় পাথর, রাজা পাথর, তিন্দু, রেমাক্রি জলপ্রপাতসহ আরও অনেক পর্যটন স্পট। শৈলপ্রপাত পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই শৈলপ্রপাত হস্তশিল্প দোকানের দোকানি আইরিন বম বলেন, আগের চেয়ে পর্যটক বেড়েছে যদি রাজনৈতিক হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি না থাকে তাহলে পর্যটক বাড়বে। ব্যবসায় সুদিন ফিরবে।
বান্দরবান আবাসিক হোটেল রিসোর্ট অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, বছরের শীতের এই সময়টাতে মূলত বিভিন্ন জেলা হতে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে, তাই পর্যটন ব্যবসায় কিছুটা চাঙ্গা ভাব থাকে। তবে পাহাড়ে সাম্প্রতিক অস্থিরতা, বন্যা সর্বপরি রাজনৈতিক অস্তিরতা, হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি থাকায় পর্যটনশিল্পের বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তবে মাসের শুরুতে জেলার প্রায় সব পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ায় পর্যটন সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে এছাড়া সরকারি ছুটি ও বন্ধের দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে থাকে দর্শনার্থীদের সমাগম।
দূর-দূরান্তের জেলা হতে আশা পর্যটকরাও খুশি দীর্ঘদিন পর বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখতে পেরে। এছাড়া জেলার থানচি ও রুমা উপজেলায় বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট সম্প্রতি উন্মুক্ত রয়েছে সবার জন্য।
তাই দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, পরিবহন, টুরিস্ট গাইড ব্যবসাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোতে ফিরেছে ব্যস্ততা। এত দিন জেলায় পর্যটক সমাগম কম হওয়ায় লোকসান হয়েছে যা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হচ্ছে পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসার পরিবেশ।