চট্টগ্রাম

শেখ হাসিনার উন্নয়ন কেচ্ছাকাহিনিকেও হার মানিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কেচ্ছাকাহিনিকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আজ দেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমরা গতবার স্লোগান দিয়েছিলাম “আমার গ্রাম আমার শহর”। অর্থাৎ গ্রামগুলোকে শহরের মতো বানাব। এখন গ্রামগুলো শহরের মতো হয়ে গেছে।’

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রোয়াজারহাটে রাঙ্গুনিয়া ক্লাব মাঠে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী জনসভায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এই আসনে (চট্টগ্রাম-৭) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, মরিয়মনগর, চন্দ্রঘোনা কদমতলী ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঈদ, পূজা-পার্বণে কেজি ১৫ টাকায় চাল, ২০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল, বিনা মূল্যে চাল, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, টিসিবির কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ১৮ রকমের ভাতা দিচ্ছে সরকার। আবার নারীদের কাছে মোবাইলে সরকারের টাকা পৌঁছে যায়। এসব আমরা আগে ছোট থাকতে কেচ্ছাকাহিনিতে শুনতাম। আগে কার্পেটিং রাস্তা ছিল শহরে। এখন গ্রামের সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। কোনো জাদুর কারণে এই পরিবর্তন হয়নি, এগুলো সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।

নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৫ বছর আগে কাপ্তাই সড়ক ছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় আর কোনো কার্পেটিং রাস্তা ছিল না, এখন রাঙ্গুনিয়ার অভ্যন্তরে কার্পেটিং ছাড়া কোন রাস্তাটা আছে, সেটি গুনে দেখতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা আমাকে তিনবার এমপি নির্বাচিত করেছেন। এই ১৫ বছরে আমি কী করেছি, সেই কৈফিয়ত আপনারা না চাইলেও আমার দায়িত্ব কৈফিয়ত দেওয়া। আমি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি শুধু দলের এমপি হব না, রাঙ্গুনিয়ার যেকোনো মানুষ আমার কাছে গেলে সে কোন দলের, কোন মতের বা পথের, সেটি দেখি নাই। যে দল বা মতেরই হোক না কেন, তার উপকার করার চেষ্টা করেছি।’

এর আগে পোমরা ইউনিয়নে গণসংযোগকালে পথসভায় হাছান মাহমুদ ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাষ্ট্র আপনাকে ভোটের অধিকার দিয়েছে, তাই ভোট দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সেই অধিকার প্রয়োগ করতে হবে। ৭ তারিখ আপনার এই অধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে সকাল সকাল যাবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। আমরা নৌকা মার্কায় ভোট চাই। সুষ্ঠু সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *