শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে জামালকে হারিয়ে সেমিতে আবাহনী
স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে অবশেষে আবাহনী শেখ জামালকে হারিয়েছে। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব আবাহনীকে ছেড়ে কথা বলেনি। উত্তেজনাকর খেলায় শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় খুঁজে নিতে হয়েছে আবাহনীকে। এদিকে আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশকে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ে শেখ জামালকে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারায় ঢাকা আবাহনী। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দুই দল ১-১ গোলের সমতায় ছিল। টাইব্রেকারে গোলরক্ষক শামিমের নৈপুণ্যে জয় পেয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।
এদিন নির্ধারিত সময়ের খেলায় দুই দলই খেলেছে সাবধানী ফুটবল। দুই অর্ধেই একাধিক সুযোগ পেয়েও কেউই গোল করতে পারেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য সমতায় শেষ হয়।
ম্যাচে অবশ্য উত্তেজনার অন্ত ছিল না। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর আগেই ডাগ আউটে উত্তেজনা তৈরি হয়। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ জমে আবাহনীর ডাগআউটে। আবাহনীর ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন।
অতিরিক্ত সময়ের খেলায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। এরই মধ্যে ৯৪ মিনিটে গোল পেয়ে যায় আবাহনী। সতীর্থের ক্রসে বক্সের ভেতরে এমেকা বুক দিয়ে বল সামনে ফেললে আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোনাথন দারুণ এক নিচু শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। এই গোলে কিংস অ্যারেনায় আগত আবাহনী সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরে শেখ জামাল। ব্রাজিলিয়ান হিগোর লেতে দারুণ এক ফ্রি-কিকে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। পাপ্পু বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি।
টাইব্রেকারেও ক্ষণে ক্ষণে বদলেছে পরিস্থিতি। আবাহনীর কোচ ক্রুসিয়ানি মাস্টার স্ট্রোকটা খেলেন অতিরিক্ত সময়ের শেষে এসে। বদলি গোলরক্ষক হিসেবে শামিমকে নামান তিনি। টাইব্রেকারে শেখ জামালের পাঁচটি শটের মধ্যে দুটিই ঠেকিয়ে দেন শামিম। আবাহনীকে দু’বার লিড নেওয়ার সুযোগ এনে দিলেও এমেকা ও রবিউল মিস করে বসায় আর লিড নেওয়া হয়নি। তবে শেখ জামালের হয়ে শেষ শট নিতে এসে ফাহিম বাইরে মারলেও আবাহনীর শেষ শটে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ইরানি ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ।
এর আগে দিনের ওপর ম্যাচে কিংস অ্যারেনায় পুলিশকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ। রহমতগঞ্জের জয়ের নায়ক ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল কোনি। তিনি ২৮ ও ৩১ মিনিটে দুই গোল করে রহমতগঞ্জকে জয় এনে দেন স্যামুয়েল।
এই ম্যাচের তিনটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। প্রথমে গোল পায় পুলিশই। ২২ মিনিটে এদুয়ার্দ মোরিও বক্সে ফাউলের শিকার হলে তারা পেনাল্টি পায়। স্পটকিকে গোল করেন ইবারগেন গার্সিয়া।