শিক্ষা

সংশোধন আসছে শরীফার গল্পে, যোগ হচ্ছে নতুন তথ্য

বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের আলোচিত শরীফার গল্পে পরিবর্তন আনতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বোর্ড জানায়, আগামী শিক্ষাবর্ষে এই গল্পে পরিবর্তন এনে হিজড়া জনগোষ্ঠীর তথ্য শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ে রাখা হবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, চিঠিতে গল্পটি বাদ দিতে বলা হয়নি। সংশোধন, পরিমার্জন বা এর জায়গায় নতুন গল্প রাখতে বলা হয়েছে।

‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ বিষয়ে ধারণা দিতে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে জায়গা পেয়েছিল ‘শরীফার গল্প’।

বইয়ের ৩৯ ও ৪০ নম্বর পৃষ্ঠায় অন্তর্ভুক্ত ওই পাঠে শিক্ষার্থীরা পড়বে নারী-পুরুষের বাইরে ‘তৃতীয় লিঙ্গের’ মানুষ বা ‘হিজড়াদের’ জীবনের কথা।

পাঠ্যপুস্তকটির পাঠের এ অংশ নিয়েই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তুমুল বিতর্ক চলে দেশজুড়ে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এ বিতর্কের সূচনা করেন আসিফ মাহতাব, যিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।

রাজধানীতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক আলোচনায় ‘সমকামিতার উসকানির’ অভিযোগ তুলে তিনি পাঠ্যবইয়ের ওই অংশের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পাঁচ মাস পর গত মে মাসে এই কমিটি গল্পটি বাদ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আসার পর অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলছেন, হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানানোর প্রক্রিয়া তারা অব্যাহত রাখবেন।

হিজড়া জনগোষ্ঠীর সম্পর্কে যেটা আমরা শিখন পদ্ধতিতে রাখতে চাই, সেটা করব। যেহেতু শরীফ-শরীফা নিয়ে সমস্যা হয়েছে, সেটা যেন অন্য কোনোভাবে পড়ানো যায়, সেটা করব আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *