জাতীয়

সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

সোমবার (জুন ২৪) বিকেলে জাতীয় সংসদের নিচতলায় স্থাপিত মুজিব ও স্বাধীনতা উদ্বোধন করেন তিনি।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের প্রথম লেভেলে স্থাপিত মুজিব ও স্বাধীনতা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি মুজিব ও স্বাধীনতা প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে সই করেন এবং মুজিব ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে মুজিব ও স্বাধীনতা স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান।

এ সময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপবর্গ ইকবালুর রহিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নজরুল ইসলাম বাবু, সাইমুম সরওয়ার কমল, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সানজিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা মুজিব ও স্বাধীনতা পরিদর্শন করেন।

মুজিব ও স্বাধীনতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস।

এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০ এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালী ইতিহাস। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।

জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *